দক্ষিণ ওয়েলসের একটি স্কুলে দুই শিক্ষক ও এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করার দায়ে এক ১৩ বছর বয়সী স্কুলছাত্রীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১৫ বছরের জন্য আটক করা হয়েছে।
২০২৪ সালের ২৪ এপ্রিল, কারমার্থেনশায়ারের আম্মানফোর্ডের ‘ইয়সগল ডাইফ্রিন আমান’ স্কুলে বিরতির সময় ছাত্রীটি শিক্ষক ফিওনা এলিয়াস, লিজ হপকিন এবং এক ছাত্রের উপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। ছুরিকাঘাতে তিনজনই আহত হন।
ছাত্রীটি ছুরিসহ স্কুলে আসার কথা স্বীকার করলেও, সে ইচ্ছাকৃত হত্যাচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে। তবে সোয়ানসি ক্রাউন কোর্টের জুরি তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। বিচারক বলেন, এই হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং মনোযোগ আকর্ষণের উদ্দেশ্যে করা।
ছুরিকাঘাতের পর কিশোরীটি পুলিশকে জানায়, “এটি একজন সেলিব্রিটি হওয়ার একটি উপায়।”
আক্রমণের সময় সে শিক্ষকদের উদ্দেশে বারবার বলছিল, “আমি তোমাকে মেরে ফেলব।”
-
হপকিন আহত হন পা, বুক, কাঁধ ও ঘাড়ে
-
এলিয়াস আহত হন হাত ও বাহুতে
-
ছাত্রটি আহত হয় হাতে
বিচারক পল থমাস বলেন, মেয়েটি এখনো অনুশোচনা প্রকাশ করেনি এবং ভবিষ্যতে আবার বিপজ্জনক আচরণ করতে পারে। তবে, সে অর্ধেক সাজা ভোগের পর মুক্তি পাওয়ার যোগ্য হবে।
-
ফিওনা এলিয়াস বলেন, “তুমি আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিলে… পুরো স্কুলকে তুমি নরকে ফেলেছ।”
-
লিজ হপকিন বলেন, “তুমি প্রতিদিন আমার চিন্তায় ফিরে আসো… আমি চাই না তুমি চিরকালের জন্য শাস্তি পাও, বরং ভালো পথে ফিরে আসো।”
আক্রমণে ব্যবহৃত ছুরিটি ছিল মেয়েটির বাবার মাছ ধরার ছুরি।
আসামির আইনজীবী জানান, মেয়েটি এক জটিল মানসিক অবস্থা ও পারিবারিক প্রতিকূলতার মধ্যে বেড়ে উঠেছে, তবে এখনও তার পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।