যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় প্রথমবারের মতো নিহত চার ইসরাইলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাজার খান ইউনিসে একটি জায়গা থেকে মরদেহগুলো রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত জিম্মির মধ্যে রয়েছেন শিরি বিবাস, তার দুই শিশু পুত্র কেফির ও এরিয়েল, এবং চতুর্থ বন্দি ওদেদ লিফশিৎজ। হামাস সদস্যরা রেডক্রসের ট্রাকে সাদা চাদরে ঢাকা কালো কফিনগুলো উঠিয়ে দেয়, এরপর রেডক্রসের গাড়িবহর ইসরাইলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায়, ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। চুক্তির প্রথম ৩০ দিনে ১৯ ইসরাইলি জিম্মি মুক্তি পেয়েছে, এছাড়া হামাস নিজ উদ্যোগে পাঁচ থাই নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে। এর পাশাপাশি এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছেন।
চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ে আগামী ১২ দিনে আরও ১৪ ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। তবে, ইসরাইল জানিয়েছে, এই ১৪ জনের মধ্যে আটজন ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন। হামাস দাবি করেছে, নিহত চার জিম্মি ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন, তবে ইসরাইল এখনও এ বিষয়ে কিছু নিশ্চিত করেনি।
এ সপ্তাহের শুরুতে, হামাস এবং ইসরাইল জানিয়েছে, নিহত আট জিম্মির মরদেহ দুই দফায় হস্তান্তর করা হবে এবং বাকি ছয় জীবিত জিম্মি মুক্তি পাবেন। হামাস আরও জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে অবশিষ্ট সব ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। এর মাধ্যমে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ইসরাইলি বাহিনীকে উপত্যকা থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ধাপে ধাপে ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির বিরোধিতা করে সব জিম্মিকে একসঙ্গে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তার ওই আহ্বানের পর হামাস পক্ষ থেকে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে।