যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে দুর্নীতির অভিযোগে মামলার বিষয়ে তার আইনজীবীকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে স্কাই নিউজ।
অভিযোগ অনুযায়ী, টিউলিপ তার খালা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে প্রভাব খাটিয়ে ঢাকার উপকণ্ঠে পূর্বাচল এলাকায় একটি অভিজাত প্রকল্পে ৭,২০০ বর্গফুটের একটি প্লট নিয়েছেন। এ অভিযোগের পর চলতি বছরের শুরুতে তিনি ব্রিটিশ মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন।
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বলেছে, টিউলিপ “ক্ষমতা ও প্রভাবের অপব্যবহার” করেছেন।
স্কাই নিউজ জানায়, টিউলিপের আইনজীবী গত সপ্তাহে প্রতিদিন আদালতে গিয়ে মামলার তথ্য চাইলেও কিছুই পাননি। বৃহস্পতিবার আদালতের আদেশ দেওয়ার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, যদি টিউলিপ ১১ আগস্ট আদালতে না আসেন, তাহলে অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে। তবে স্কাই নিউজের তথ্যমতে, ওই তারিখে তিনি দেশে ফিরছেন না।
দুদক জানিয়েছে, টিউলিপের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে, যেগুলো সবই পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের।
টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবীর দাবি, “বাংলাদেশ সরকার গত এক বছর ধরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ তুলে তার সম্মানহানি করছে। পূর্বাচলে তার কোনো জমি নেই এবং তিনি কখনো সেখানে মালিকানাও দাবি করেননি।”
তিনি আরও বলেন, “গণমাধ্যমে বারবার ব্রিফিং দেওয়া, আইনি চিঠির জবাব না দেওয়া এবং যুক্তরাজ্য সফরে দুদকের কর্মকর্তারা টিউলিপের সঙ্গে দেখা না করাটিই প্রমাণ করে, এই তদন্ত ন্যায্য নয়।”
তার ভাষায়, “এখন সময় এসেছে এই ভিত্তিহীন অপপ্রচার বন্ধ করার এবং টিউলিপের সুনাম ও জনসেবায় তার কাজকে সম্মান জানানোর।”
গত বছর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সম্প্রতি, টিউলিপ তাকে অভিযোগ করে বলেন—প্রফেসর ইউনূস এবং তার দল ‘যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে’ এবং তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত প্রচারণা চালাচ্ছে।
অন্যদিকে, ইউনূসের দপ্তর জানায়, তাদের বা দুদকের পক্ষ থেকে এমন হস্তক্ষেপের কোনো কারণ বা সুযোগ নেই। তাদের তদন্ত নির্ভর করে প্রমাণ ও সাক্ষ্যের ওপর, গুজবে নয়।
সূত্র: স্কাই নিউজ