দীর্ঘদিন পর খুলছে পাথর উত্তোলনের পথ
দীর্ঘ সাত বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে সিলেটের কোয়ারিগুলো পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় অর্থনীতির মূল ভিত্তি হিসেবে পরিচিত পাথর কোয়ারিগুলো বন্ধ থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, শ্রমিক এবং সাধারণ মানুষ ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হন। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরিনা আফরিন মোস্তফার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পূর্বের আদেশটি বাতিল করে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সারা দেশের গেজেটভুক্ত কোয়ারিগুলো থেকে পাথর, সাদামাটি এবং সিলিকাবালু উত্তোলনে আর কোনো বাধা থাকবে না। ২০১৮ সাল থেকে বন্ধ থাকা এসব কোয়ারির কারণে স্থানীয় অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছিল। পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকার ফলে ব্যবসায়ীরা বড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন, অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় এবং প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েন।
ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল, কোয়ারিগুলো বন্ধ থাকায় নদীর প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং নদীর প্রবেশমুখে পাথরের স্তুপ জমে জলপ্রবাহের পথ পরিবর্তিত হচ্ছে। অন্যদিকে, পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় চোরাচালান বাড়ছে এবং সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এত সব সমস্যার সমাধানে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যান ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সিলেটের কোয়ারিগুলো পুনরায় চালু হলে স্থানীয় অর্থনীতি আবারও গতিশীল হবে। বন্ধ থাকা পাথর ও বালু মহাল থেকে উত্তোলন শুরু হলে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে। এ ছাড়া, পরিবহন ব্যবসা, লোড-আনলোড কাজ, এবং বিভিন্ন কোয়ারি নির্ভর পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমও নতুন করে প্রাণ ফিরে পাবে।
স্থানীয় প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা, পাথর উত্তোলনের ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি নিশ্চিত করে কাজ পরিচালনা করা হবে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর কোয়ারিগুলো পুনরায় খুলে দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত সিলেটের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে।