বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুই কেবিন ক্রু — এম এস টি মৌরি ও খাদিজা সুলতানা শিমু-র বিরুদ্ধে প্রেমের ফাঁদ (হানিট্র্যাপ) পেতে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একজন বিদেশপ্রবাসী ব্যবসায়ী বিমানে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, অন্যজন আদালতে মামলা করেছেন।
দুই যাত্রীর অভিযোগ
ভুক্তভোগী কাতারপ্রবাসী ব্যবসায়ী নাছির আহমেদ দাবি করেন, মৌরি তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আইফোন, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা হাতিয়ে নেন। সম্পর্ক ছিন্ন করার পর নাছিরকে তার আরেক প্রেমিকের মাধ্যমে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
অন্যদিকে বেসরকারি এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা ওমর ফারুক আদালতে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করেন, শিমু তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রায় ২২ লাখ টাকা ও একটি হীরার আংটি আত্মসাৎ করেছেন। পরবর্তীতে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান এবং আপত্তিকর ছবি-ভিডিও দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করেন।
অভিযুক্তদের প্রতিক্রিয়া
অভিযোগ অস্বীকার করে কেবিন ক্রু মৌরি বলেন, “আমি কারও সঙ্গে প্রতারণা করিনি। অভিযোগকারী ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলছেন। আমি তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাইনি, তাই সে এখন প্রতিশোধ নিচ্ছেন।”
অন্যদিকে শিমু এসব প্রশ্নকে ‘ব্যক্তিগত বিষয়’ উল্লেখ করে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
বিমানের অবস্থান
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ মহাব্যবস্থাপক এ বি এম রওশন কবির জানান, “আমরা মৌরি ও শিমুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মৌরির বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত চলছে। প্রমাণ মিললে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিমুর বিরুদ্ধেও আদালতে মামলা হয়েছে বলে জেনেছি।”
পটভূমি
অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযুক্ত দুই কেবিন ক্রু পরিকল্পিতভাবে একসাথে ফ্লাইটে দায়িত্ব পালন করেন এবং বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলেন। পরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আর্থিক ও মানসিকভাবে প্রতারণা করেন।