কুয়েত ভিজিট ভিসা নীতিমালায় বড় পরিবর্তন এনেছে। এখন থেকে ভিজিট ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ থাকবে, যা আগে ছিল সীমিত সময়ের জন্য।
এই সিদ্ধান্তের ফলে পর্যটক, পরিবার-পরিজন কিংবা অন্য যে কোনো উদ্দেশ্যে আসা দর্শনার্থীরা দীর্ঘ সময় কুয়েতে অবস্থান করতে পারবেন। তবে, ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি নির্ভর করবে ভিসার ধরন, কুয়েতি স্পনসরের অনুমোদন, শর্তাবলি ও সরকারের নির্ধারিত প্রক্রিয়ার ওপর।
দেশটির প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে এ সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, “আমরা একটি বিশাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ করছি। কুয়েতকে পর্যটন ও বাণিজ্যের আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে রূপান্তর করাই লক্ষ্য।”
নতুন নীতির আওতায় এখন ভিজিট ভিসাধারীরা শুধু কুয়েতি এয়ারলাইন্সেই নয়, অন্যান্য আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স যেমন মিডল ইস্ট এয়ারলাইন্সেও ভ্রমণ করতে পারবেন। এর আগে পারিবারিক ভিজিট ভিসায় কুয়েতি এয়ারলাইন্স ছাড়া যাতায়াত সম্ভব ছিল না।
বাংলাদেশিদের জন্য বাড়তি স্বস্তির খবর হলো—কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাস ‘ভিসা সত্যায়ন ব্যবস্থা’ চালু করেছে। এই ব্যবস্থায় নিয়োগকর্তার প্রকৃততা যাচাই করে তবেই ভিসা সত্যায়ন করা হচ্ছে। দূতাবাসের প্রতিনিধিরা সরেজমিনে কোম্পানির পরিবেশ, আবাসন ও সুযোগ-সুবিধা পর্যালোচনা করেন।
এর ফলে অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগজালিয়াতি ও প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন।