যুক্তরাজ্যে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি জুলাই মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৮ শতাংশ, যা ২০২৪ সালের শুরু থেকে সর্বোচ্চ। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুনে এই হার ছিল ৩.৬ শতাংশ।
মূলত বিমান ভাড়া এবং পরিষেবা খাতে ব্যয় বৃদ্ধিই এই মুদ্রাস্ফীতির জন্য দায়ী। পরিষেবা খাতে মূল্যস্ফীতি ৪.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫.০ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (BoE)-এর পূর্বাভাসের চেয়েও বেশি। এছাড়া, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, কোমল পানীয় এবং হোটেল কক্ষের মূল্য বৃদ্ধিও এতে অবদান রেখেছে।
জি-৭ দেশের মধ্যে যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি বর্তমানে সর্বোচ্চ। তুলনামূলকভাবে, জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এই হার ছিল ২.৭ শতাংশ, আর ইউরোজোনে তা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২ শতাংশ লক্ষ্যসীমার কাছাকাছি।
Bank of England পূর্বে আশা করেছিল যে মুদ্রাস্ফীতি ধীরে ধীরে কমবে এবং ২০২৭ সালের মাঝামাঝি নাগাদ ২ শতাংশ লক্ষ্যে ফিরে আসবে। কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য ইঙ্গিত করছে, সুদের হার কমানোর বিষয়ে তারা আরও ধীর হতে পারে।
তথ্য প্রকাশের পর ব্রিটিশ পাউন্ডের মান কিছুটা বেড়েছে এবং বিনিয়োগকারীরা প্রত্যাশা করছেন, মার্চ ২০২৬ সালের আগে সুদের হার কমানো নাও হতে পারে। ডেলয়েটের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়ান স্টুয়ার্ট বলেন, “ব্রিটেন উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও দুর্বল প্রবৃদ্ধির দ্বৈত চাপে রয়েছে, যা সম্ভবত আগামী বসন্ত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।”
খাদ্য ও অ্যালকোহলবিহীন পানীয়ের দাম এক বছর আগের তুলনায় ৪.৯ শতাংশ বেড়েছে, যা ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ বৃদ্ধি। BoE পূর্বাভাস দিয়েছে, বছরের শেষে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৫.৫ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রিটেনের কড়া শ্রমবাজার, ব্রেক্সিট-পরবর্তী কর্মী সংকট, উচ্চ মজুরি ও কর বৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়ীরা খরচ বৃদ্ধির মুখে পড়ছেন, যার চাপ শেষ পর্যন্ত ভোক্তার ঘাড়ে পড়ছে।