‘স্বৈরাচার’ প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ পালিয়েছেন। সিরিয়া ‘মুক্ত’ হয়েছে। দামেস্ক দখলের পর এমনটাই বলেছে বিদ্রোহীরা।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শাম (এইচটিএস) তাদের টেলিগ্রামে বলেছে, ‘একটি অন্ধকার যুগের সমাপ্তি হয়েছে এবং একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে’।
আসাদ সরকারের অর্ধ শতাব্দীর শাসনামলে বাস্তুচ্যুত বা কারাগারে বন্দি লোকেরা এখন ঘরে ফিরতে পারবে, বলছে বিদ্রোহীরা।
এইচটিএস আরও বলেছে, এখন একটি ‘নতুন সিরিয়া’ গড়ে তোলা হবে যেখানে ‘সবাই শান্তিতে বসবাস করবে এবং ন্যায়বিচারের জয় হবে।’
রয়টার্সের প্রতিবেদন মতে, রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করতে শুরু করেন বিদ্রোহীরা। এর মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ রাজধানী দামেস্ক ছেড়ে পালান।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে সিনিয়র দুই সেনা কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বাশার আল আসাদ দামেস্ক ছাড়লেও কোথায় গেছেন, সেটা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানিয়েছে, একটি ব্যক্তিগত বিমান দামেস্ক বিমানবন্দর ছেড়ে গেছে। বিমানটিতে সম্ভবত আসাদ রয়েছেন। বিমানটি ছাড়ার সময় সেখানে সরকারী সেনা উপস্থিত ছিল।
দামেস্কের সেদনায়ায় বড় একটি কারাগার থেকে বহু বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে বিদ্রোহীরা। এরপর জনতার সঙ্গে দামেস্ক জয়ের উদযাপন শুরু করে তারা।
বিদ্রোহীরা বলেছে, ‘আমরা সিরিয়ার জনগণের সাথে আমাদের বন্দিদের মুক্ত করার, তাদের শিকল মুক্ত করার এবং সেদনায়া কারাগারে অন্যায়ের যুগের সমাপ্তি ঘোষণা করার খবর উদযাপন করছি।’
এদিকে সিরিয়ার সেনা কমান্ডা অফিসারদেরকে অবহিত করেছে যে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ২৪ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান হয়েছে। বিদ্রোহীদের দামেস্ক দখলের পর একজন সেনা কর্মকর্তা বিষয়টি রয়টার্সকে জানিয়েছেন।