নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন, স্বীকৃতি প্রদান ও নেটওয়ার্ক তৈরির লক্ষ্যে সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো ‘সিলেট নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন ২০২৫’। এনআরবি ব্যাংক পিএলসির সহযোগিতায় এবং বুম বক্স কমিউনিকেশন্স-এর আয়োজনে আয়োজিত দিনব্যাপী এই সম্মেলনে সিলেটের ১২ জন কৃতী নারী উদ্যোক্তাকে প্রদান করা হয় ‘অপরাজিতা অ্যাওয়ার্ড’।
শনিবার (৩০ আগস্ট) নগরীর আরামবাগ এলাকার একটি অভিজাত কনভেনশন হলে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, “নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই। তাদের প্রতিভা, মেধা ও সাহসিকতা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আজকের এই সম্মাননা কেবল একটি পুরস্কার নয়, বরং এটি নারী উদ্যোক্তাদের আত্মবিশ্বাস আরও দৃঢ় করবে।”
দিনব্যাপী আয়োজিত সম্মেলনে নারী উদ্যোক্তাদের সহজলভ্য ঋণ, ব্যবসা পরিচালনার চ্যালেঞ্জ, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সুযোগ এবং নারী নেতৃত্বের বিকাশ নিয়ে বিভিন্ন সেশন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, সিলেটসহ সারা দেশে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংকিং সুবিধা আরও সহজ করতে হবে এবং তরুণ প্রজন্মের মেয়েদের ব্যবসায়িক উদ্যোগে উৎসাহিত করতে হবে।
বুম বক্স কমিউনিকেশন্সের ফাউন্ডার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম জি রব্বানীর সভাপতিত্বে এবং নাহিদা খান সুমির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক খালেদ আহমদ, ইউএস এম্বাসি ঢাকার এক্সচেঞ্জ অ্যালামনাই সাইদা জামিলা বকুল জুঁথি, এনআরবি ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আলী আকবর ফারাজী, সিলেট ইন্সপেক্টিং রেঞ্জ-১ অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. আনোয়ার সাদাত।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ড. মিহির কান্তি চৌধুরী, ইফফাত আরা খান, মিলাদ হোসেন, মাজহারুল ইসলাম জয়নাল, পিংকি রোজারিও রোজ, মাছাঃ শামছুন্নাহার সুমা প্রমুখ।
বুম বক্স কমিউনিকেশন্সের উদ্যোগে আয়োজিত সিলেট উইমেনস এন্টারপ্রেনারশিপ সামিট-২০২৫ ও ‘অপরাজিতা’ অনুষ্ঠানে যে ১২ জন নারী উদ্যোক্তা সম্মাননা পান তারা হলেন— রাবেয়া খান আহমেদ, শামা হক চৌধুরী, ফারমিস আক্তার, রাধাবতী দেবী, মনোজাহা পলী ইসলাম, বিলকিস আক্তার সুমি, ফেরদৌসি মোহিউদ্দিন, শেলিনা আক্তার চৌধুরী, তাহিয়া তালবিয়া মিম, তৌহিদা টাম্মি, শান্তনা দেবী এবং বর্ণালী দাস তৃষা।
অনুষ্ঠানে প্রায় ৫০০ নারীর উপস্থিতিতে দিনব্যাপী আলোচনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।