সিলেটে আজ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সন্ধ্যা ৬টায় প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। এ সিরিজকে ঘিরেই আপাতত সব মনোযোগ বাংলাদেশের, যদিও এটি এশিয়া কাপের প্রস্তুতির অংশ।
নেদারল্যান্ডসের ক্রিকেট এখনো শুরুর পর্যায়ে বলেই বিবেচিত। তাদের জার্সিতে নেই কোনো স্পনসরের লোগো—যা স্পষ্টতই বোঝায়, দেশের মধ্যে ক্রিকেটের পেছনে পড়েই থাকা অবস্থান। তবে সেই ‘আন্ডারডগ’ তকমা নিয়েই নির্ভারভাবে খেলতে নামবে সফরকারীরা। অন্যদিকে স্বাগতিক বাংলাদেশ আছে কিছুটা চাপে—ভালো খেলার এবং সিরিজ জয়ের প্রত্যাশায়।
বৃষ্টির কারণে মূল মাঠে অনুশীলনে ঘাটতি থাকলেও, গতকাল দুপুরে রোদে অনুশীলনের সুযোগ পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শেষ মুহূর্তে সাংবাদিকদের জন্য কিছু সময় অনুশীলন খোলা রাখা হয়, যেখানে নুরুল হাসান সোহান, জাকের আলী অনিক, তাওহিদ হৃদয়দের বড় শট মারার অনুশীলন চোখে পড়ে। প্রায় এক মাস ধরেই এমন প্রস্তুতি নিচ্ছে দল।
সিলেটে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় পর বসছে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির আসর। সর্বশেষ ২০২৪ সালের মার্চে এখানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছিল বাংলাদেশ। সে সিরিজ হারলেও এবার জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা।
বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স সিরিজটিকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবেই দেখছেন। তিনি বলেন, “নেদারল্যান্ডস সবসময় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলে, বিশেষ করে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তারা ভালো পারফর্ম করেছে। তাই আমাদেরও সেরা খেলাটা খেলতে হবে।”
এদিকে এশিয়া কাপ নিয়ে এখনই ভাবতে নারাজ সিমন্স। “এই মুহূর্তে আমাদের পুরো মনোযোগ নেদারল্যান্ডস সিরিজেই,” বলেন তিনি।
দলের একাদশ নিয়ে কিছু অনিশ্চয়তা থাকলেও সামগ্রিক স্কোয়াডে বড় পরিবর্তন নেই। ইনজুরির কারণে প্রথম ম্যাচে শামীম পাটোয়ারীর না খেলার সম্ভাবনা বেশি। তার জায়গায় দেখা যেতে পারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে। অন্যদিকে, ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের চোটের শঙ্কা কেটে গেছে, তানজিদ তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে তিনিই থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
দলে লিটন দাস, মোস্তাফিজুর রহমান, শেখ মাহেদি ও রিশাদ হোসেনের মতো পরিচিত মুখরাই থাকবেন। পাকিস্তান সিরিজের মতো একাদশ নিয়েই মাঠে নামার পরিকল্পনা বাংলাদেশের।