তার রাজনৈতিক মতাদর্শ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য নিয়ে তদন্ত চলছে
রিফর্ম ইউকে দলের ডারহামের একজন কাউন্সিলর পল বিনকে হোম অফিসের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি আশ্রয় ও অভিবাসন সংক্রান্ত মামলার সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হিসেবে কাজ করতেন। তদন্তে দেখা হচ্ছে, তিনি সিভিল সার্ভিসের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার নিয়ম ভেঙেছেন কিনা।
“হোপ নট হেট” নামক একটি সংগঠন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন কিছু পোস্ট চিহ্নিত করেছে, যেগুলোতে আশ্রয়প্রার্থীদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য রয়েছে এবং সেগুলো পল বিনের বলে দাবি করা হচ্ছে। এক পোস্টে বলা হয়েছে, “৯৩% আশ্রয়প্রার্থী ১৮-৩৫ বছর বয়সী পুরুষ এবং তাদের ৯২% প্রত্যাখ্যাত হয়।” অন্য এক পোস্টে আশ্রয়প্রার্থীদের অর্থনৈতিক অভিবাসী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যানে অবশ্য দেখা গেছে, প্রায় অর্ধেক আবেদনকারী আশ্রয় পান এবং আপিলের পরে সংখ্যাটি আরও বাড়ে।
এসব মন্তব্য সিভিল সার্ভিস কোডের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে। কোড অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীদের রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ থাকতে হয়।
এদিকে রিফর্ম ইউকে-ও পল বিনকে দল থেকে বরখাস্ত করেছে, যদিও এটি তার সামাজিক পোস্টের জন্য নাকি দলের বিরুদ্ধে সমালোচনার কারণে তা পরিষ্কার নয়। তিনি নাইজেল ফ্যারেজের ইসলাম নিয়ে অবস্থান এবং শ্রমিক শ্রেণির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিরও সমালোচনা করেছিলেন।
ডারহাম কাউন্টি কাউন্সিল জানিয়েছে, বিন এখনও কাউন্সিলর পদে রয়েছেন যতক্ষণ না তার দল আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্যপদ বাতিলের বিষয়টি জানায়।
এক বিরোধীদলীয় নেত্রী আমান্ডা হপগুড বলেন, “এই বিষয়টি স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত হওয়া উচিত এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তর যে এটি গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে, তা ইতিবাচক।”
স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তারা সিভিল সার্ভিস কোড লঙ্ঘনের অভিযোগকে গুরুত্ব সহকারে দেখে এবং প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
বিনের কাছ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।