অধিকৃত ৪ ইউক্রেনীয় অঞ্চলের নাগরিকদের পাসপোর্ট দিচ্ছে রাশিয়া। বুধবার (৫ মার্চ) রুশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বিষয়টি জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এখন পর্যন্ত ৩৫ লাখের বেশি মানুষকে রুশ পাসপোর্ট দেয়া হয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি সামরিক অভিযান শুরু করার পর দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া- ইউক্রেনের এই চার অঞ্চল দখল করে মস্কো। এরপর ওই বছরের সেপ্টেম্বরে গণভোটের মাধ্যমে অঞ্চলগুলো রাশিয়ার সঙ্গে একীভূত হয়।
বর্তমানে রুশ বাহিনী দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ এবং জাপোরিঝিয়া ও খেরসনের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। মস্কো উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের কিছু অংশও দখল করেছে।
এদিকে যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাবনার মধ্যেও থেমে নেই ইউক্রেন-রাশিয়ার পাল্টাপাল্টি হামলা। বুধবার ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি অঞ্চল লক্ষ্য করে প্রায় ২০০ ড্রোন হামলা চালায় রুশ সেনারা। এতে কয়েকজন হতাহত হন।
বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ইউক্রেনের একটি বন্দরের। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, ইউক্রেনীয় সেনাদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছিলো। কিয়েভ বলছে রাশিয়ার বেশিরভাগ ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা।
পাল্টা হামলা চালায় ইউক্রেনও। রাশিয়ার রস্তভ অঞ্চলে তেল উত্তোলন স্থাপনায় ও সামারা অঞ্চলে একটি তেল শোধনাগারে হামলা চালানোর দাবি করে জেলেনস্কি বাহিনী। হামলার পর সেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে দাবি করে কিয়েভ। তবে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে বুধবার টেলিভিশনে ভাষণ দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। জানান, আগামী সপ্তাহে প্যারিসে ইউরোপের সামরিক বাহিনীর প্রধানেরা বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন।
ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র নিজের অবস্থান পরিবর্তন করায় ইউরোপ এখন নতুন এক যুগে প্রবেশ করেছে। সামরিক খাতে ব্যয় বাড়ানো হবে বলেও ভাষণে ঘোষণা দেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
তথ্যসূত্র: এএফপি