ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে হলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সব শর্ত পুরোপুরি পূরণ করতে হবে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এমন কথা জানিয়েছেন রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক প্রধান।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে বলেছেন, মস্কো ইউক্রেনের সাথে আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকলেও, প্রায় তিন বছর ধরে চলা এই সংঘাতের ‘মৌলিক কারণগুলো’ সমাধান করা হলেই কেবল যুদ্ধ বন্ধ করা সম্ভব।
ইউক্রেন যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর পর, ট্রাম্প বলে আসছেন যে, তিনি দ্রুত ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে চান। এ বিষয়ে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্প জানান যে, তিনি মনে করেন তিনি অগ্রগতি করছেন। যদিও বিস্তারিত কিছুই জানাননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর পুতিনের সাথে তার কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে, ট্রাম্প এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কথা বলেছি। এখন শুধু এটুকুই ধরা যাক যে, আমি কথা বলেছি।’
তবে ক্রেমলিন ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি নিশ্চিত বা অস্বীকার কোন কিছুই করেনি।
এদিকে মস্কো জোর দিয়ে বলেছে যে গত জুনে পুতিন যে দাবিগুলো তুলে ধরেছিলেন – তা প্রাথমিক প্রস্তাব হিসেবে রয়ে গেছে।
১৪ জুন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পুতিনের ভাষণে তিনি কয়েকটি শর্ত তুলে ধরেন। সেগুলো হলো, ইউক্রেনকে অবশ্যই তার ন্যাটোতে যোগ দেয়ার ইচ্ছা ত্যাগ করতে হবে এবং চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চল থেকে তার সৈন্য পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে হবে। যে অঞ্চলগুলোর বেশিরভাগই রাশিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে।
তবে কিয়েভ, যারা ন্যাটোতে যোগ দিতে এবং যদি সম্ভব হয় হারানো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করতে চায়, সেই সময় বলেছিল যে এই শর্ত মেনে নেয়া হবে আত্মসমর্পণের সমান।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর যুদ্ধ চলছে সেখানে।