নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘এই ঘাটতি বাজেটে জনগণের কোনো উপকার হবে না।’ আজ শুক্রবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মুসলিম ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে গণতন্ত্র মঞ্চের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, রাস্তাঘাট ও গ্রামীণ অব কাঠামো উন্নয়নের জন্য বাজেটে আড়াই লাখ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। কিন্তু এই বাজেটে কিছু হবে না। রাস্তাঘাটে মানুষের কোনো কর্মসংস্থান হবে না। ঘাটতি আছে আরও আড়াই লাখ কোটি টাকা। আট লাখ কোটি টাকার বাজেট করা হয়েছে কিন্তু চার লাখ কোটি টাকা ঘাটতি আছে। বাকি টাকা ঋণ করতে হবে। তাই আমরা বলছি, জনগণ না থাকলে সরকার থাকবে না, ক্ষুধার্ত মানুষ একদিন রাস্তায় নেমে আসবে।’
এই সভায় গণসংহতি আন্দোলেন প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি বলেন, বৈধ উপায়ে আয়কারীদের ৩০ পারসেন্ট হারে ট্যাক্স দিতে হবে। তার ওপর আছে সারচার্জ। কিন্তু যারা চুরি করছে, দুর্নীতি করছে তাদের কালো টাকা সাদা করতে কোনো সারচার্জ ছাড়াই ১৫ শতাংশ হারে ট্যাক্স দিলেই তাদের টাকা সাদা হবে। যারা টাকা পাচার করছে ব্যাংকগুলো খেয়ে ফেলছে, এদের রক্ষা করার জন্যই এই বাজেট। এই বাজেট আজিজ-বেনজীরের বাজেট। রিজার্ভ ১৩ বিলিয়ন ডলারেরে নিচে নেমে গেছে। সব জনগণের ওপর চাপিয়েছে। এই সরকার হচ্ছে আজিজ, বেনজীর, এস আলমের সরকার।’
জেলা ভাষানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি মাহবুবে আলম জুয়েলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, ভাষানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এবং স্থানীয় নেতারা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মোসলেমা মিতু ও অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন।