যুক্তরাজ্যের এপিং শহরে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এক আশ্রয়প্রার্থী গ্রেপ্তারের পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক ব্যক্তির দাঁত পড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
৩৮ বছর বয়সী ইথিওপীয় নাগরিক হাদুশ গারবেরস্লাসি কেবাতুর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের একাধিক অভিযোগ আনা হয়। তিনি হোম অফিসের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত বেল হোটেলে আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে অবস্থান করছিলেন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয়দের বিক্ষোভ শুরু হয়, যা এক পর্যায়ে সহিংসতায় রূপ নেয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ধূসর জামা পরা এক ব্যক্তি পুলিশের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু এক দাঙ্গা পুলিশ সদস্য তাকে ঢাল দিয়ে সজোরে আঘাত করেন। পরে ওই ব্যক্তি জানান, আঘাতে তার দাঁত পড়ে গেছে এবং তিনি সেগুলো নিজের পকেটে রেখেছেন।
সহিংসতার সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে বস্তু নিক্ষেপ করেন, পুলিশের গাড়িতে লাথি-ঘুষি মারেন। একজন বিক্ষোভকারীকে পুলিশ ভ্যানে চাপা দেওয়ার দৃশ্যও ভাইরাল হয়।
এসেক্স পুলিশের সহকারী চিফ কনস্টেবল স্টুয়ার্ট হুপার জানান, দাঙ্গার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংঘর্ষে আট পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৫ বছর বয়সী ডিন ওয়াল্টারসের বিরুদ্ধে “দাঙ্গা”র অভিযোগ আনা হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হোটেলভিত্তিক আশ্রয়ব্যবস্থা ধীরে ধীরে বন্ধের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র বলেন, “বিক্ষোভের অধিকার থাকলেও সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
সাম্প্রতিক এক তদন্তে জানা গেছে, চলতি বছরে আশ্রয় হোটেলগুলোর বাসিন্দা অন্তত ৩৩৯ জন অভিবাসী বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে আদালতে গেছেন, যা এসব হোটেল ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে।
সূত্র: দ্য সান