আগামী ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। যার প্রথমটি সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ দল প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে। রবিবার স্কোয়াডের ১০ ক্রিকেটার নিয়ে অনুশীলন করলেও আজ সোমবার পুরো স্কোয়াড নিয়ে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল।
জিম্বাবুয়ে ষষ্ঠবারের মতো বাংলাদেশে টেস্ট খেলতে আসছে। এর আগে ২০০১, ২০০৫, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশে এসে টেস্ট খেলেছে তারা। সব মিলিয়ে ১০ টেস্টে আফ্রিকার দলটির জয় মাত্র দুটি। কিছুটা দুর্বল প্রতিপক্ষ হলেও জিম্বাবুয়েকে হালকা ভাবে দেখছে না লাল-সবুজ দল। তাইতো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভালোভাবে প্রস্তুতি শুরু করেছে তারা।
সোমবার বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন সকালে ব্যাট-বলে ক্রিকেটাররা নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছেন। দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল এক ভিডিও বার্তায় দলের পক্ষ থেকে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবেন। তারা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে যাবেন সিলেটে। বুধবার বিশ্রামের পর বৃহস্পতিবার থেকে টানা তিনদিন অনুশীলন করবেন অতিথিরা। অভিজ্ঞদের ফিরিয়ে পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশে আসছে।
চার বছর পর টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসছে ক্রেইগ আরভিনরা। ২০২০ সালে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি ইনিংসের ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার দুইটি ম্যাচই হবে ঢাকার বাইরে। সিলেটে প্রথম টেস্ট ২০ থেকে ২৪ এপ্রিল। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্ট ২৮ এপ্রিল থেকে ২ মে।
গত সপ্তাহে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জিম্বাবুয়ে সিরিজের পাশাপাশি চলতি বছরের টেস্ট ম্যাচ নিয়ে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘গত বছর আমরা চারটা টেস্ট জিতেছিলাম। এ বছর আরও ছয়টা গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট আছে। লক্ষ্য থাকবে আগের চেয়ে ভালো ফল করা। আমরা কোনও প্রতিপক্ষকে ছোট করে দেখছি না। সিরিজ হোক জিম্বাবুয়ের সঙ্গে বা দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে—প্রতিটি ম্যাচকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হিসেবেই দেখি।’
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রস্তুতি আদর্শিক না হলেও নিজেদের মানিয়ে নিয়ে মাঠে সেরাটা দিতে চান বাংলাদেশের অধিনায়ক, ‘এই ম্যাচগুলোকে (ঢাকা লিগ) কোনওভাবেই শুধু প্রস্তুতি ম্যাচ বলা যাবে না। আমরা অনেক দিন পর টেস্ট খেলতে যাচ্ছি, একটু বেশি সময় পেলে ভালো হতো ঠিকই। যারা টেস্ট দলে আছে, তারা মানসিকভাবে প্রস্তুত।’