কুশিয়ারা নদীর ভয়াবহ ভাঙন থেকে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর, খানপুর, গঙ্গা নগর, মধীপুর গ্রামের বসতবাড়ি, বেড়িবাঁধ, সড়ক, কবরস্থান ও খেলার মাঠ রক্ষার দাবি জানানো হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় জালালপুর-খানপুর কুশিয়ারা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকায় এক মানববন্ধনে এই দাবি জানানো হয়। জালালপুর, খানপুর, গঙ্গা নগর, মধীপুর গ্রামবাসীসহ জালালপুর ক্বাসিমুল উলুম মাদরাসা, আল-ইখওয়ান ইসলামি সমাজকল্যাণ সংস্থা, স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ও পাইলগাঁও ইউনিয়ন ডেভলপমেন্ট ট্রাস্ট ইউকে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, টানা কয়েক দশক ধরে কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে বৃহত্তর জালালপুর, গঙ্গা নগর ও মধীপুর গ্রামের বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, স্কুল, মসজিদ মাদরাসা কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে, বর্তমানে প্রাচীন গ্রাম খানপুর কুশিয়ারা নদীর তীব্র ভাঙনের শিকার হয়েছে। বর্তমানে জালালপুর গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র সরকারি পাকা সড়ক, কবরস্থান, খেলার মাঠ থেকে মাত্র ৫০ ফুট দূরত্বে কুশিয়ারা নদীর অবস্থান। যেকোন সময় কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে সড়কটি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, ‘আমাদের চারটি গ্রামের শতাধিক বসতবাড়ি কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে, অনেক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে, আমাদের এলাকা ভাঙনের কবল থেকে রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসেনি। কুশিয়ারা নদীর ভাঙনের কবল থেকে নদীর তীর সংরক্ষণ করার জন্য আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে দাবি জানাই।’
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, সমাজ সেবক হাজী ফারুক আহমেদ, জালালপুর ক্বাসিমুল উলুম মাদরাসার মুহতামীম মাওলানা বাহা উদ্দিন, মাওলানা বেলাল আহমদ, তমিজ উদ্দিন, রফান উদ্দিন, শাকিল হাসান রনি প্রমুখ।
অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ সহস্রাধিক জনসাধারণ অংশগ্রহণ করেন।