বাংলাদেশে ২০২৫ সালের বাকি সময়টায় আর স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট করে গ্রাহকদের দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, লাইসেন্স প্রিন্টের দায়িত্বে থাকা ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ২৮ জুলাই শেষ হয়েছে। নতুন ঠিকাদার নিয়োগে ছয় মাস সময় লাগতে পারে।
-
বর্তমানে প্রায় ৭ লাখ আবেদন ঝুলে আছে, যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
-
ই-লাইসেন্স (অনলাইন লাইসেন্স) চালু থাকবে, এবং পুলিশকে এটি গ্রহণ করার বিষয়ে বলা হয়েছে।
-
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কারো হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দেওয়া হবে না।
-
বিআরটিএ’র কাছে এখনো ড্রাইভিং লাইসেন্সের ডাটাবেজ ও সার্ভার নিয়ন্ত্রণ নেই, যা আগের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে রয়ে গেছে।
-
অতীতে টাইগার আইটি ও এমএসপি—দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই ডাটাবেজ হস্তান্তর না করা, সময়মতো সেবা না দেওয়া ইত্যাদি অভিযোগ রয়েছে।
-
চুক্তি অনুযায়ী প্রতিদিন ৮ হাজার কার্ড সরবরাহ করার কথা থাকলেও তা হয়নি।
-
বিআরটিএ নতুন ঠিকাদার নিয়োগের কাজ করছে।
-
আপাতত ই-লাইসেন্সই বৈধ রূপে চালু থাকবে।
-
ডাটাবেজের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিতে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে।
বুয়েটের অধ্যাপক শামছুল হক বলেন, বিআরটিএর অনিয়ম আর জবাবদিহিহীনতার কারণে এই সেবা সংকট বছরের পর বছর চলেছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার প্রক্রিয়াটি আরও সহজ, স্বচ্ছ এবং দায়িত্বশীলভাবে পরিচালিত হওয়া দরকার।