বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, শহীদ পেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলেই দেশে শিল্প কারখানা স্থাপন, জিডিপি ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায়।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন এবং শিল্প বিকাশে শহীদ জিয়ার অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন নজরুল ইসলাম খান।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, শহীদ পেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তাদের সমস্যা এবং তার সমাধান খুঁজে নিতে পছন্দ করতে। তিনি বলতেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে। তাই তিনি মানুষের মতামত নিয়ে কৃষি, কৃষকের ও শিল্পের উন্নয়ন করেছেন।
মাহমুদ আল নূর তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান প্রিন্স।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জি নাইন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত, বিশিষ্ট ব্যক্তি, কেন্দ্রীয়, জেলা ও মহানগর বিএনপিনেতারা।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, জিয়াউর রহমান মনে করতেন, কৃষিনির্ভর দেশে কৃষিকে উন্নত করার জন্য শিল্পের প্রয়োজন আছে। কৃষি এবং শিল্প উন্নয়ন পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে চলবে। তার সরকারের আমলেই পাঁচ-ছয়টা টেক্সটাইল মিল, সুগার মিল ও সার কারখানা এবং ওষুধের কারখানা হয়েছে। তার সরকারের আগে প্রাইভেট বিনিয়োগ বন্ধ ছিল। তিনি তা খুলে দিয়েছিলেন। ফলে প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল। তাই ১৯৭৩-৭৪ সালে যেখানে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ৬৭ দশমিক সাত এক মিলিয়ন টাকা। সেখানে ৮০-৮১ সালে তা দুই লাখ ২৫ হাজার ৬১৯ বিলিয়ন টাকা হয়। যেখানে ৭৪-৭৫ সালে আমাদের মাথাপিছু গড় আয় ছিল ৮৮৯ টাকা, সেখানে ১৯৮১-৮২ সালে দুই হাজার ৩৩৭ টাকা হয়। ৭২ সালে পাকা রাস্তা ছিল দুই হাজার ৬৯৫ মাইল আর ৮০-৮১ সালে তা হয় চার হাজার ৯৫ মাইল ।
অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমানের জীবদ্দশায় উল্লেখযোগ্য জনকল্যাণমূলক ইতিবাচক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিষয় নিয়ে প্রমাণ্যচিত্র এবং স্থিরচিত্র প্রদর্শন করা হয়।