টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়লেন নাজমুল হোসেন শান্ত
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। যদিও টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটে নেতৃত্ব চালিয়ে যেতে তার কোনো আপত্তি নেই, তবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নেতৃত্ব দেওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। বিসিবি ইতোমধ্যেই শান্তর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে।
নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্বের সময়টি মিশ্র অভিজ্ঞতায় ভরা। তার নেতৃত্বে দল মাঝে কিছু সাফল্য পেলেও, গত কয়েক মাসে পারফরম্যান্স নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ চলাকালে তার নেতৃত্ব নিয়ে কিছু সমালোচনা উঠে আসলেও, তখন তাকে সরানো হয়নি। তবে এবার শান্ত নিজেই দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন।
টি-টোয়েন্টি দলের নতুন অধিনায়ক হিসেবে লিটন দাসের নামই উঠে আসছে। লিটনের নেতৃত্বে সম্প্রতি বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করেছিল। সেই সিরিজ শেষে লিটন জানান, অধিনায়কত্ব করলে তিনি তা উপভোগ করবেন এবং দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। তার ভাষায়, “বিসিবি যদি আমাকে দায়িত্ব দেয়, আমি তা গ্রহণ করতে প্রস্তুত। এটি আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা এবং আমি মাঠে সিদ্ধান্ত নিতে ভালোবাসি।”
শান্তর নেতৃত্ব ছাড়ার ফলে লিটন দাসকে সামনে আনার কথা ভাবছে বিসিবি। আগামী মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে লিটনকে নতুন অধিনায়ক হিসেবে দেখা যেতে পারে। বিপিএল শেষে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটে শান্তর নেতৃত্ব চলমান থাকবে। বিশেষ করে ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত শান্তর নেতৃত্ব নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও তার সাম্প্রতিক ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা রয়েছে, তার অধিনায়কত্বে দলের শৃঙ্খলা নিয়ে সন্তুষ্ট বিসিবি।
অন্যদিকে, মেহেদী হাসান মিরাজও ওয়ানডে ও টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তবে মিরাজের জায়গা এখনো টি-টোয়েন্টি দলে স্থায়ী হয়নি। এ কারণে এই ফরম্যাটে নেতৃত্বের ক্ষেত্রে লিটনকেই এগিয়ে রাখা হচ্ছে।
নাজমুল হোসেন শান্তর এই সিদ্ধান্ত দল এবং দেশের ক্রিকেটের জন্য একটি বড় পরিবর্তনের সূচনা হতে পারে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নতুন অধিনায়কের অধীনে বাংলাদেশ কতটা উন্নতি করতে পারে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।