যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধির দাবির বিরোধিতা করবেন বলে জানা গেছে।
ট্রাম্প ন্যাটো সদস্যদের জিডিপির ৫ শতাংশ প্রতিরক্ষা ব্যয় করার দাবি করেছেন, যা যুক্তরাজ্যের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। স্টারমার প্রতিরক্ষা ব্যয় ২.৩ শতাংশ থেকে ২.৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তবে তা ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছেন।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, দ্রুত এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন করতে হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং স্থানীয় পরিষেবা খাতে বড় ধরনের ব্যয় সংকোচন করতে হতে পারে। অর্থনীতিবিদরাও সতর্ক করেছেন, প্রতিরক্ষা খাতে অতিরিক্ত ৫ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় অন্যান্য সেবা খাতের সংকটে পরিণত হতে পারে।
তাদের প্রথম টেলিফোন আলাপের সময়, স্টারমার এবং ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের উন্নতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে চাগোস দ্বীপপুঞ্জ, শুল্কনীতি এবং প্রতিরক্ষা ব্যয় নিয়ে কোনো উল্লেখযোগ্য আলোচনা হয়নি।
ট্রাম্প স্টারমার সম্পর্কে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন এবং তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। তবে প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ে উভয় দেশের ভিন্ন অবস্থান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
সরকার জানিয়েছে, কৌশলগত প্রতিরক্ষা পর্যালোচনার মাধ্যমে সামরিক চাহিদা এবং বাজেটের মধ্যে ভারসাম্য তৈরির চেষ্টা চলছে।