দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘ আট মাস ধরে ডায়ালাইসিসের উপকরণ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে কিডনি রোগীরা চরম সংকটে পড়েছেন। উপকরণ কিনতে গিয়ে প্রতিবার ডায়ালাইসিসে গুনতে হচ্ছে প্রায় ২ হাজার ৭০০ টাকা। ফলে অনেকেই জমি বিক্রি থেকে শুরু করে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে রোগীরা সম্প্রতি হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
এক রোগী বলেন, ‘আগে মাত্র ৪০০ টাকা খরচে ডায়ালাইসিস করাতে পারতাম। এখন পানি, হেপারিন, সিরিঞ্জ, গ্লোবস, ব্লাডসেটসহ সব উপকরণ কিনতে খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৭০০ টাকা। ভিটা-মাটি বিক্রি করে বাঁচার চেষ্টা করছি, কিন্তু আর পারছি না। আমাদের জীবন বাঁচাতে উপকরণ সরবরাহ করুন।’
বিরল উপজেলার কিডনি রোগী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আর টাকা জোগাড় করতে পারছি না। আমাদের জীবন বাঁচাতে ডায়ালাইসিসের উপকরণ সরবরাহ করুন। আমরা বাঁচতে চাই।’
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩২টি ডায়ালাইসিস বেড রয়েছে। প্রতিদিন চার শিফটে শতাধিক রোগী ডায়ালাইসিস করে থাকেন। কিন্তু বরাদ্দ শেষ হয়ে যাওয়ায় উপকরণ সংকট প্রকট হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক প্রশাসন ডা. শ্যামলী সাহা।
তিনি বলেন, ‘রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে রোগীরা এখানে ডায়ালাইসিস করতে আসেন। বরাদ্দকৃত উপকরণ দ্রুত শেষ হয়ে যায়। টেন্ডার প্রক্রিয়ার জটিলতার কারণে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই ডায়ালাইসিস উপকরণ ক্রয় করা হবে।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত ডায়ালাইসিস উপকরণ সরবরাহ না করলে কিডনি রোগীদের জীবন বিপন্ন হতে পারে।