ড্রাইভিং পরীক্ষায় দীর্ঘ অপেক্ষা কমাতে মাসে ১০ হাজার অতিরিক্ত পরীক্ষা
ইংল্যান্ডে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ব্যবহারিক পরীক্ষার দীর্ঘ অপেক্ষা শেষ করতে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। পরীক্ষার জন্য পাঁচ মাস বা তার বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করছেন এমন শিক্ষার্থী চালকদের ভোগান্তি কমাতে প্রতিমাসে ১০ হাজার অতিরিক্ত ড্রাইভিং পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
পরিবহন সচিব হাইডি আলেকজান্ডার জানিয়েছেন, আগামী গ্রীষ্মের মধ্যেই এই অতিরিক্ত পরীক্ষাগুলো চালু করা হবে। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে ড্রাইভিং পরীক্ষার জন্য জায়গা খালি করে অপেক্ষার সময় কমানো।
বর্তমানে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ড্রাইভিং টেস্ট বুক করতে শিক্ষার্থীদের ছয় মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে, যা সরকারের মতে “একেবারেই অগ্রহণযোগ্য”। হাউজ অব কমন্সের পরিবহন কমিটিকে দেওয়া বক্তব্যে হাইডি বলেন, ২০২৬ সালের গ্রীষ্ম নাগাদ অপেক্ষার গড় সময় সাত সপ্তাহের নিচে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। যদিও এটি করতে গিয়ে সরকার তাদের আগের নির্ধারিত সময়সীমা মিস করতে পারে।
এই সমস্যা সমাধানে ড্রাইভিং ও গাড়ি মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা (DVSA) বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে নতুন পরীক্ষক নিয়োগ, আগের পরীক্ষকদের অস্থায়ীভাবে কাজে ফেরানো এবং ওভারটাইমের জন্য বাড়তি বেতন দেওয়া। এ ছাড়া, পরীক্ষার স্লট বুক করতে স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার ব্যবহার করে যেসব প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত স্লট দখল করে বেশি দামে বিক্রি করছে, সেসব বট বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
গত বছর রেকর্ড ১৯ লাখ ৫০ হাজার ড্রাইভিং পরীক্ষা বুক হয়েছিল। এবার সেই চাহিদা সামাল দিতে পরীক্ষার ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা চলছে।
শিক্ষার্থী চালক মিলি ময়েলার জানান, তিনি গত ১৮ মাস ধরে পরীক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু স্লট পাচ্ছিলেন না। এতে তাঁর শিক্ষা ও ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব পড়েছে। তিনি আশা করছেন, এবার তিনি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
ড্রাইভিং প্রশিক্ষকরাও বলছেন, কোভিডের পর থেকে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। সু হাও নামের এক প্রশিক্ষক বলেন, আগে ১০ সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা পাওয়া যেত, এখন সেটা অনেক কঠিন। কারণ, পর্যাপ্ত পরীক্ষক নেই।
এএ ড্রাইভিং স্কুলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমা বুশ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “অনেক শিক্ষার্থী ড্রাইভিং লাইসেন্স না পাওয়ায় চাকরি বা পড়াশোনার সুযোগ হারাচ্ছেন। অতিরিক্ত পরীক্ষা নেওয়ার মাধ্যমে এই সমস্যা অনেকটাই দূর হবে।”