সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। যদিও তিনি ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থান করছেন।
রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের পর গত বছর কয়েক মাস আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ছিলেন চুপচাপ। এরপর হঠাৎ একদিন তিনি ফেসবুক লাইভে এসে নিজের অবস্থান ও দলের পক্ষে বক্তব্য দেন, যা সিলেটসহ সারাদেশে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দেয়।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ভিত্তিতে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন। দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. তানজির আহমেদ বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
তবে শুধু আনোয়ারুজ্জামান নন, আরও অন্তত ১৩ জনের বিরুদ্ধেও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্য ব্যক্তিরা হলেন:
-
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান
-
তার ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান
-
সার্ভ কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের পরিচালক সারওয়াত সুলতানা মনামী
-
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম
-
আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহ আলম সারোয়ার
-
ব্যাংকের সাবেক পরিচালক রাবেয়া জামালী
-
এ আর এম নাজমুস সাকিব
-
কামরুন নাহার আহমেদ
-
মো. জাফর ইকবাল
-
সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মো. মঈনুদ্দিন
-
মো. নুরুল হাসনাত
-
বেক্সিমকো গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার কৌশিক কান্তি পণ্ডিত
দুদকের উপপরিচালক মো. ইয়াছির আরাফাত এই নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, সার্ভ কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল ইসলামসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যাংক থেকে ঋণের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।
তদন্ত চলাকালীন বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, এজাহারভুক্ত আসামিরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন। এতে তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণেই তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা প্রয়োজন বলে আদালতে আবেদন করা হয়।