কোরবানি ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা মানুষকে আল্লাহর নৈকট্য লাভের সুযোগ করে দেয়। ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী নির্ধারিত দিনে যার কোরবানি করার সামর্থ্য রয়েছে, তার জন্য এটি ওয়াজিব। তবে কেবল অর্থ ব্যয় করলেই কোরবানি কবুল হবে না—একনিষ্ঠ নিয়ত ও আন্তরিকতা অত্যাবশ্যক। কোরবানি হতে হবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। যদি লোক দেখানো উদ্দেশ্য, বা শুধু বেশি গোশতের আশায় কোরবানি করা হয়, তাহলে সেই কোরবানি আল্লাহর দরবারে গ্রহণযোগ্য হবে না।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর কাছে পশুর গোশত বা রক্ত পৌঁছায় না, পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া।’ (সুরা হজ: ৩৭)
হাদিস শরিফে হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে বললেন, “হে আয়েশা, একটি ছুরি দাও।” তারপর তিনি বললেন, “এটা পাথরে ঘষে ধারালো করো।” আয়েশা (রা.) বলেন, “আমি তাই করলাম।” এরপর তিনি ছুরি হাতে নিয়ে দুম্বাটিকে কাত করে শুইয়ে দিলেন এবং বললেন, “বিসমিল্লাহ, হে আল্লাহ! এ কোরবানি মুহাম্মদ, মুহাম্মদের পরিবার এবং তাঁর উম্মতের পক্ষ থেকে কবুল করে নিন।” এরপর তিনি কোরবানি সম্পন্ন করেন। (আবু দাউদ: ২৭৯২)