সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ২ নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের অবৈধ নিয়োগের অবৈধ নিকা-তালাক রেজিস্ট্রার নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামীলীগের নেতা আব্দুশ শাকুর কে অপসারণের দাবীতে মঙ্গলবার ৩রা জুন সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের বিশিষ্ট মুরব্বি ও হাতিরখাল ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সভাপতি মাওলানা নিজাম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গোয়াইনঘাট উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসাইন, গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মদরীছ আলী, গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান, তরুণ প্রজন্মদল নেতা শামীম আহমদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন – আমরা দেশবাসীকে জানাতে চাই বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে গোয়াইনঘাট উপজেলার ২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নে কাজী নিয়োগ প্রক্রিয়া আমি যোগ্যতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও শুধু রাজনৈতিক কারনে ফ্যাসিস্টদের দোসরদের চক্রান্তে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে নিয়োগ বঞ্চিত করা মেধাবীদেরকে । সম্পূর্ণ দলীয় প্রভাব প্রয়োগ করে পরীক্ষায় ১ম হওয়া চাকরী প্রত্যাশীকে ২য় বানিয়ে ও ১০ ম হওয়া প্রার্থী কে ১ম বানিয়ে নিয়োগ জালিয়াতি করে একটি চক্র। মেধা তালিকায় প্রথম জাকারিয়া আহমদ কে ২য় বানিয়ে মেধাবী হওয়া সত্বেও কাজীর লাইসেন্স প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আজ সেই বঞ্চনার চিত্র গণমাধ্যমের মাধ্যমে সিলেটবাসীর কাছে তুলে ধরতে এবং বর্তমান সরকারের কাছে ন্যায় বিচার প্রাপ্তির প্রত্যাশা নিয়ে আমার আজকের এই মানববন্ধন ।
বক্তারা আরও বলেন ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর যে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পরীক্ষায় জাকারিয়া ৫০ এর মধ্যে ৩৮ সর্বোচ্চ মার্ক পেয়ে লিখিত পরীক্ষায় ১ম হই। এর বিপরীতে বর্তমান কাজী উপজেলার মাতুরতল বাজারের রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুশ শাকুর লিখিত পরীক্ষায় ০৫ মার্ক পেয়ে ১০ম হন।
বক্তারা আরও বলেন ফ্যাসিস্টদের দোসররা মামলা, হামলার হুমকী এমনকি পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে অপর প্রার্থীদের জিম্মি করে তদন্তের নামে অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। নিয়ম অনুযায়ী মৌখিক পরীক্ষার পর দিন চূড়ান্ত প্যানেল ঘোষণা করার কথা, রহস্যজনক কারনে সেদিন আর ঘোষণা করা হয়নি। তখন জানাযায় পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আলিম উদ্দীন এবং গেয়াইনঘাট আওয়ামী যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আহমেদ মোস্তাকিন মেধাবী প্রার্থী জাকারিয়া সহ অপর প্রার্থীদের আওয়ামী লীগ বিরোধী, বিএনপি জামাত বলে প্রচারণা চালিয়েছিলেন
বর্তমান কাজীর ভাই বান্ধব, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল বাছিত রুম্মান, পুলিশ সদস্যের চাপ ও হুমকির মুখে পড়ে এই দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিত অভিযোগ করলেও নিজের নিরাপাত্তার ঝুঁকি বিবেচনায় আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে পারেননি ভুক্তভোগীরা।
বিগত জুলাই উভ্যুত্থান পরবর্তী ফ্যাসিবাদের পতন ও আইনের শাসন কায়েম হওয়ার সু বিচার প্রত্যাশায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দারস্থ হয়েছি। একই সাথে আপনাদের মাধ্যমে সিলেটবাসীকের এই বৈষম্য ও নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরছি। আমরা আশা করছি অযোগ্য ও ক্ষমতার অপপ্রয়োগে নিয়োগ প্রাপ্ত কাজীকে বাতিল করে যোগ্যতার মুল্যায়নে নিয়োগ দিতে হবে ।