দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও শনাক্ত করা যায়নি এক অজ্ঞাতনামা নিহত ব্যক্তির পরিচয়। গত ১২ মার্চ সকালে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের রঘুন্দনপুর গ্রামের একটি ইউক্যালিপটাস গাছের নিচ থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। লাশের মুখ ও মাথা থেঁতলানো অবস্থায় পাওয়া যায়, যা নির্মম হত্যার ইঙ্গিত দেয়।
নিহতের পরিচয় শনাক্তে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার নম্বর ১২, তারিখ ১২ মার্চ ২০২৫। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হেমলেট বর্মণ জানান, “লাশের পরিচয় শনাক্তে ফিংগারপ্রিন্ট ব্যবহার করা হলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত কেউ নিহত ব্যক্তিকে দাবি করতেও আসেনি।”
নিহত ব্যক্তির বর্ণনা অনুযায়ী—তার পরনে ছিল কালো জিন্সের প্যান্ট এবং গায়ে ছিল কালো রঙের একটি হুডি, যার সামনের অংশে ইংরেজিতে লেখা ছিল “Positive”। ডান হাতে কব্জির চারপাশে গুননের চিহ্নবিশিষ্ট একটি ট্যাটু ছিল। আনুমানিক বয়স ৩৫ বছর, মুখ গোলাকার, গায়ের রঙ শ্যামবর্ণ এবং উচ্চতা ছিল প্রায় ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি।
পুলিশ জানায়, পরিচয় শনাক্তের জন্য বিভিন্ন থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কোনো ফল মেলেনি। নিহতের পরিচয় শনাক্ত ও হত্যার কারণ উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।