জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–এর পাঁচ শীর্ষ নেতা হঠাৎ কক্সবাজারে গিয়েছেন—এমন সময় যখন ঢাকায় পালিত হচ্ছে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’। রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা উঠেছে, এই নেতারা নাকি সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস–এর সঙ্গে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে মার্কিন দূতাবাস ও এনসিপির পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে।
দূতাবাস বলছে—পিটার এখন সাধারণ নাগরিক
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র আশা বে মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে জানান,
“পিটার হাসের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। তিনি এখন একজন বেসরকারি নাগরিক। তিনি কোনো বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন কি না, সে বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।”
কক্সবাজারে গেছেন এনসিপির ৫ নেতা
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌঁছান এনসিপির শীর্ষ পাঁচ নেতা।
তারা হলেন:
-
মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী,
-
মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম,
-
মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ,
-
জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা,
-
এবং তার স্বামী ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ।
এ বিষয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন,
“আমরা কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছি। পিটার হাসের সঙ্গে কোনো মিটিং হয়নি। এটা সম্পূর্ণ গুজব ও প্রোপাগান্ডা। হোটেলে চেক-ইন করার পরই এমন নিউজ দেখি।”
পুলিশ ও বিএনপির ভিন্ন প্রতিক্রিয়া
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সাইফউদ্দীন শাহীন জানান, এনসিপির পাঁচ নেতাসহ মোট ছয়জন হোটেলে অবস্থান করছেন, তবে সেখানে পিটার হাস নেই। হোটেলে কেবল তিনজন চীনা নাগরিক রয়েছেন। কারও সঙ্গে মিটিং হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই।
অন্যদিকে, গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর উখিয়া উপজেলার স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হোটেলের সামনে বিক্ষোভ করেন।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী বলেন,
“জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবসে হঠাৎ করে এনসিপি নেতাদের আগমন এবং শহর থেকে দূরে পাঁচ তারকা হোটেলে অবস্থান সন্দেহ তৈরি করেছে। বিশেষ করে পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের গুঞ্জন জনমনে নানা কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।”
তিনি আরও জানান, পিটার হাস সত্যিই সেখানে ছিলেন কিনা, তা নিয়ে তিনি তদন্ত করছেন।