ঢাকার পিলখানা হত্যার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় সাবেক বিডিআরের ৩০০ সদস্যদের করা জামিনের আবেদন ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পরে আদেশ দেবেন আদালত।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে জামিন শুনানি হয়৷
জামিন না পাওয়া তিন শতাধিক বিডিআর সদস্যদের পরিবারের স্বজনরা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে সকাল থেকে অবস্থান করছেন৷
সকাল সাড়ে নয়টার পরে কড়া পাহারায় আদালতে আনা হয় বিডিআর সদস্যদের৷ এ সময় স্বজনরা হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান তাদের৷
পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করা হয়।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি দীর্ঘ ১৬ বছর পর বিস্ফোরক আইনে জামিন পান ১৬৮ বিডিআর সদস্য৷
বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয় ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম একপ্রকার স্থগিত রেখে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। যে কারণে এ মামলার বিচারকাজ ঝুলে যায়। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দফতরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়।