দেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামীকাল রোববার রোজা শুরু হচ্ছে। আর আজ থেকে তারাবির নামাজের মাধ্যমে শুরু হলো রমজানের আনুষ্ঠানিকতা। রোজার আমেজ ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার এশার আজানের পর থেকেই দলে দলে মুসল্লিরা মসজিদে ছুটতে শুরু করেন। প্রথম তারাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। পাঞ্জাবি-পাজামা পরা এবং জায়নামাজ নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মসজিদে আসেন।
ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। কিছু মসজিদের আঙিনা ছাড়িয়ে রাস্তায় জায়নামাজ, চাদর ও পাটি বিছিয়ে মুসল্লিরা তারাবি নামাজ আদায় করছেন।
বায়তুল মোকাররম মসজিদে সন্ধ্যার পর থেকেই মুসল্লিরা দলবেঁধে, আবার কেউ কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসেন তারাবি নামাজ আদায় করতে। একই চিত্র দেখা গেছে মহাখালীর গাউছুল আজম মসজিদ কমপ্লেক্সে, যেখানে দীর্ঘ এক বছর পর মুসল্লিরা তারাবি নামাজে অংশ নিতে এসে আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করেন।
রাজধানী ছাড়াও দেশের অন্যান্য জায়গায় সব মসজিদে তারাবি নামাজে ভিড় দেখা গেছে। কিছু মসজিদে ভেতরের জায়গা পূর্ণ হয়ে বাইরে নামাজ পড়তে দেখা গেছে মুসল্লিদের।
ইসলামী বিধান অনুযায়ী, রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ায় শনিবার রাতে সেহরি খেয়ে রোববার রোজা পালন করবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। রমজান মাস সংযম, আত্মশুদ্ধি ও ত্যাগের মাস, যা রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস হিসেবে পালিত হয়। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে রোজা পালন করেন মুসলমানরা।
এ মাসের শেষ অংশে রয়েছে সেই রাত, যা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম, অর্থাৎ কদরের রাত। এক মাসের সিয়াম সাধনার পর মুসলমানরা ঈদুল ফিতর উৎসব উদযাপন করেন।