সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ‘স্বপ্নচূড়া’ স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রমীলা ফুটবলার মৌ রানী দাস মৌসুমীর (১৮) আত্মহত্যার
খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়ির কাচারি ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি ।
প্রমীলা ফুটবলার মৌ রানী দাস উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের ভাঙ্গাডহর গ্রামের সুষেন দাসের কনিষ্ঠ মেয়ে।
এ ঘটনায় মৌ’র বাবা সুষেন দাস বলেন, ‘মৌ বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে পরিবারের সবার সঙ্গে সকালের নাস্তা করেছে। এসময় আমিও হাওরে ক্ষেতে (জমিতে) কাজ করতে যাই। পরে সকাল ১০ টার দিকে মেয়ের এমন মৃত্যুর সংবাদ শুনে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ি।
তিনি বলেন, আমার মেয়ের খুব স্বপ্ন ছিল সে একজন জাতীয় ফুটবলার হবে। তার স্বপ্নপূরণে আমিও যথাসাধ্য চেষ্টা করে করছিলাম। কিন্তু স্বপ্ন পূরণের আগেই আমার মেয়ে ওপারে চলে গেল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দিরাই স্বপ্নচূড়া স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে মৌ-এর ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু হলেও উপজেলা, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়েও অনেকটা সাফল্য রয়েছে তার। এছাড়া তিনি ঢাকা ফুটবল লীগেরও নিয়মিত একজন খেলোয়াড় ছিলেন।
মৌ-এর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার পরিবার, প্রতিবেশী ও সহপাঠী প্রমীলা খেলোয়াড়ের মাঝে।
শোক প্রকাশ করে একই ক্লাবের সহপাঠি খেলোয়াড় সুর্বনা আক্তার ইমা জানান, ‘মৌ খুব ভালো খেলোয়াড় ছিল। আমরা দীর্ঘদিন একইসাথে খেলাধুলা করেছি। কুমিল্লায় বিকেএসপির টিমে খেলতে গিয়ে একইসঙ্গে আমরা এক মাস ছিলাম।
তিনি বলেন, মৌয়ের স্বপ্ন ছিল সে একজন জাতীয় খেলোয়াড় হবে। তার সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়া আর সম্ভব নয়। তার আত্মার চিরশান্তি কামনা করছি।
এ ব্যপারে দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরদর্শন করেছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।