নাইজেল ফ্যারাজ সম্প্রতি বলেছেন, আগামী অক্টোবর থেকে ইউরোপ ভ্রমণে ব্রিটিশ নাগরিকদের চিকিৎসা বীমার প্রমাণ দিতে হবে। কিন্তু ইউরোপীয় কমিশন নিশ্চিত করেছে, তার এই দাবি সত্য নয়।
ফ্যারাজ বলেছিলেন, ১২ অক্টোবর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন সীমান্ত নিয়ম চালু হলে, যাত্রীদের ভ্রমণ বীমা দেখাতে হবে। তবে ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, এই নিয়মে বীমার কোনও শর্ত নেই।
নতুন নিয়ম কী বলছে?
১২ অক্টোবর থেকে ছয় মাসের জন্য ইউরোপে নতুন “এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম (EES)” চালু হবে। এই নিয়মে ব্রিটিশ নাগরিকদের আঙুলের ছাপ এবং মুখের বায়োমেট্রিক্স দিতে হতে পারে। কিন্তু অতিরিক্ত কোনো কাগজপত্র, যেমন ভ্রমণ বীমা, জমা দেওয়ার দরকার হবে না।
ইউরোপে ভ্রমণের জন্য ব্রিটিশদের যেগুলো লাগবে:
-
ভ্রমণের উদ্দেশ্য জানাতে হবে (যেমন: ভ্রমণ, ব্যবসা বা আত্মীয়দের দেখা)।
-
থাকার জন্য পর্যাপ্ত টাকা এবং বুকিংয়ের প্রমাণ দিতে হবে।
-
যুক্তরাজ্যে ফিরে আসার বা অন্য দেশে যাওয়ার টিকিট থাকতে হবে।
অনেক যাত্রী, বিশেষ করে বয়স্ক বা অসুস্থরা, ভ্রমণ বীমা বাধ্যতামূলক হওয়ার খবরে চিন্তিত হয়েছিলেন। কারণ বীমার খরচ অনেক সময় ছুটির খরচের চেয়েও বেশি হয়। তাই তারা এখনো ‘গ্লোবাল হেলথ ইন্স্যুরেন্স কার্ড (GHIC)’ ব্যবহার করছেন, যা ইউরোপে কিছু চিকিৎসা খরচ কভার করে।
ফ্যারাজের এই মন্তব্য নিয়ে ইউরোপীয় কমিশন বা অন্যান্য সূত্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে – এটি সত্য নয় এবং ভ্রমণ বীমা বাধ্যতামূলক করার কোনো পরিকল্পনা নেই।