দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেছেন, বন্যায় আক্রান্ত মানুষ সঠিকভাবে ত্রাণ পাচ্ছে না- এমন অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। কেউ না পেলে ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিলে ত্রাণ পৌঁছে যাবে। এ ছাড়া ১০৯০ নম্বরে ফোন দিলেও ত্রাণ পাবে। জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) জানিয়েছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রয়েছে কোনো সংকট নেই।
রোববার সচিবালয়ে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, ভূমি সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বন্যার্তদের মাথাপিছু কি পরিমাণ ত্রাণ দেওয়া হয়- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যতটুকু লাগবে ততটুকুই দেওয়া হয়। কোনো পরিমাপ করে দেওয়া হয় না। তাহলে কিভাবে বলছেন পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ আছে, কতটুকু লাগবে, কোথায় লাগবে তার কোনো পরিসংখ্যান না থাকলে বরাদ্দ কিভাবে দিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিসিদের চাহিদার আলোকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। তাছাড়া প্রতি জেলার জন্য স্থায়ী বরাদ্দও থাকে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তিন জেলায় বন্যা ছড়িয়ে পড়েছে। বন্যাদুর্গত এসব মানুষের আশ্রয়ের জন্য প্রায় তিন হাজার আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশের ১৮টি জেলা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। বন্যাদুর্গত লোকদের আশ্রয়ের জন্য প্রায় তিন হাজার আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৪০ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যার্তদের চিকিৎসার জন্য ৬১৯টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রংপুর, ফেনী, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, শেরপুর, বান্দরবান, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, লালমনিরহাট, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও টাঙ্গাইল জেলা বন্যা আক্রান্ত হয়েছে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত ১৮ জেলায় ২১ হাজার ৭০০ টন চাল, নগদ ৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, ৬৫ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনো ও অন্য খাবার, গোখাদ্য বাবদ ৪০ লাখ টাকা ও শিশু খাদ্যের জন্য ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সিলেট-৩, সুনামগঞ্জ-১ ও মৌলভীবাজার-২ সংসদীয় আসনে ২ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনো ও অন্য খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।