বরিশালে সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ও বর্তমান মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার (১ জুলাই) বেলা ১টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত একতলা লঞ্চঘাট ও বালুর ঘাট দখল নিয়ে এই ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এই ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় লঞ্চঘাট এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ঘাট দখল নেয়া ও বাধা দেওয়া প্রশ্নে উভয় পক্ষই ধারালো অস্ত্র লাঠিসোটা ব্যবহার করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে লঞ্চঘাটে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, চলতি বছর বরিশালের একতলা লঞ্চঘাট ও বালুর ঘাটের ইজারা পায় সাবেক মেয়র সাদেক আবদুল্লাহর অনুসারীরা। সাবেক ইজারাদার বর্তমান মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের অনুসারীরা ঘাটের দখল ছাড়তে রাজি না হওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।
মেসার্স হাসিব এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. হাসিবুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি নিয়ম মাফিক দরপত্র আহ্বান করলে আমি সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছি। তবে ঘাটের দখল ছাড়ছে না বর্তমান মেয়রের অনুসারীরা।
মো. হাসিবুল ইসলাম বিআইডব্লিউটিএর বরিশাল পোর্ট অফিসার আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘আব্দুর রাজ্জাকের সহযোগিতায় মাসিক ১০ হাজার টাকা সরকারি ফান্ডে দিয়ে অবৈধভাবে কোটেশন করে ঘাট চালাচ্ছেন বর্তমান মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের অনুসারী অরুণ হাওলাদার ও খান হাবিব। আমি বৈধ ইজারাদার হয়েও ঘাটে যেতে পারছি না। বিষয়টি আমি প্রশাসনের সব মহলে জানালেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না তারা। এমনকি পোর্ট অফিসার আব্দুর রাজ্জাক আমাদের ঘাট বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও বর্তমান মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের অনুসারীরা আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।’
বর্তমান মেয়রের অনুসারী মির্জা আবুয়াল হোসেন অরুণ বলেন, ‘ঘাটের ইজারা আমাদের প্রতিপক্ষ পেয়েছে ঠিক। তবে আমরা হাইকোর্টে রিট করেছি।’
অরুণ আরও বলেন, ‘আমরা তাদের সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছি। তবে সমঝোতা বৈঠকে আসেনি তারা।’
এ বিষয়ে নৌবন্দরের পোর্ট অফিসার আব্দুর রাজ্জাক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম আরিচুল হক বলেন, লঞ্চঘাটে দখল নিয়ে দুই পক্ষের উত্তেজনার খবর পেয়ে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানান তিনি।