যুক্তরাজ্যের কড়াকড়ি অভিবাসন নীতির প্রভাবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বড় ধাক্কা এসেছে। লন্ডন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ঘোষণা করেছে, তারা আপাতত বাংলাদেশ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি নেবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ডেপুটি ভাইস-চ্যান্সেলর গ্যারি ডেভিস জানান, ভিসা প্রত্যাখ্যানের উচ্চ হার—যার ৬০-৬৫ শতাংশই বাংলাদেশি আবেদনকারী—এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ। ব্রিটিশ সরকারের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাদের আন্তর্জাতিক ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। এই শর্ত পূরণ না করলে ‘গ্রিন কমপ্লায়েন্স’ স্ট্যাটাস হারানোর ঝুঁকি তৈরি হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় আশ্বস্ত করেছে, যেসব বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে অফার লেটার ও স্টাডি অ্যাকসেপ্টেন্সের নিশ্চিতকরণ (CAS) পেয়েছেন, তারা অর্থ ফেরত পাবেন এবং আর্থিক ক্ষতিতে পড়বেন না।
এই সিদ্ধান্ত শুধু লন্ডন মেটেই সীমাবদ্ধ নয়। গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান ইউনিভার্সিটি ও সান্ডারল্যান্ড ইউনিভার্সিটিও ভিসা জটিলতা ও নতুন নিয়মের কারণে কিছু দেশ থেকে ভর্তি স্থগিত করেছে।
এদিকে, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্টাডি ভিসা অনুমোদনের হার ২০২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে নেমে এসেছে ৬৩ শতাংশে, যা গত বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ কম।
বাংলাদেশি মালিকানাধীন লন্ডনের এলএসসিআই কলেজের চেয়ারম্যান নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ বলেন, “এই খবর আমাদের জন্য হতাশার এবং লজ্জার।”