গাজার বাসিন্দারা যাতে ‘স্বেচ্ছায়’ চলে যায় সেজন্য সেনাবাহিনীকে একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কার্টজ। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সেনাবাহিনীকে এই নির্দেশ দেন তিনি।
বৃহম্পতিবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গাজার দখল নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আকস্মিক ঘোষণার পর এই নির্দেশনা দেয়া হলো।
মঙ্গলবার ট্রাম্প ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্র গাজা দখল করবে এবং সেখানে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসন করা হবে। এছাড়া এই অঞ্চলটিকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ হিসেবে রূপান্তর করার পরিকল্পনা আছে বলেও জানান ট্রাম্প।
‘আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাহসী পরিকল্পনাকে স্বাগত জানাই। গাজার বাসিন্দাদের চলে যাওয়ার এবং দেশত্যাগের স্বাধীনতা দেয়া উচিত, যেমনটি বিশ্বজুড়ে করা হয়,’ ইসরাইলের চ্যানেল ১২ কার্টজকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে।
তবে ফিলিস্তিনিদের কারা গ্রহণ করবে জানতে চাইলে কার্টজ বলেন, গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযানের বিরোধিতাকারী দেশগুলোরই এটি করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে এবং অন্যান্য দেশ, যারা গাজায় ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের জন্য তেল আবিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং মিথ্যা দাবি করেছে, তারা আইনত গাজার যেকোনো বাসিন্দাকে তাদের অঞ্চলে প্রবেশের অনুমতি দিতে বাধ্য।’
চ্যানেল ১২ আরও জানিয়েছে, কার্টজের পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থলপথে প্রস্থানের বিকল্প অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পাশাপাশি সমুদ্র ও আকাশপথে প্রস্থানের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও থাকবে।
এদিকে বুধবার ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার সমালোচনা করে বিশ্বশক্তি রাশিয়া, চীন ও জার্মানি বলেছে যে এটি ‘নতুন দুর্ভোগ এবং নতুন ঘৃণা’ তৈরি করবে।
আঞ্চলিক হেভিওয়েট সৌদি আরবও এই প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ, যিনি আগামী সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সাথে দেখা করবেন, বুধবার বলেছেন যে তিনি ভূমি অধিগ্রহণ এবং ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার যেকোনো প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
কিন্তু ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বুধবার ট্রাম্পের প্রস্তাবটি ‘অসাধারণ’ বলে মন্তব্য করেছেন।