অন্যের স্ত্রীকে প্ররোচিত করে বিয়ে করা, ব্যভিচার ও মানহানির অভিযোগে জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার নাসির হোসেন এবং তার স্ত্রী তামিমা সুলতানার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা শুনতে বিব্রত হয়েছে আদালত। সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান মামলাটি অন্য আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিন নাসির ও তামিমার আত্মপক্ষ শুনানির জন্য আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের পক্ষে আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু দুটি আবেদন করেন। দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বলেন, ‘‘এটা একটি বিজি কোর্ট। এক মামলার শুনানি করতে যেই ধৈর্য প্রয়োজন, সেই সময় এ আদালতের কাছে নেই, ফলে অন্য মামলার ওপর প্রভাব পড়ছে।’’ আদালত জানান, তারা বিব্রতবোধ করছেন এবং মামলাটি অন্য কোর্টে পাঠিয়ে দিচ্ছেন, যাতে তাদের কোনো আপত্তি না থাকে। আইনজীবীরা জানায়, এতে তাদের কোনো আপত্তি নেই।
এরপর আদালত মামলাটি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠিয়ে দেয়। সিএমএম আদালত পরে মামলাটি অন্য কোনো কোর্টে পাঠানোর ব্যবস্থা নেবেন।
এ মামলার সূত্রপাত ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি, যখন তামিমার আগের স্বামী রাকিব হাসান তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। এরপর ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পিবিআইর পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত) শেখ মো. মিজানুর রহমান প্রতিবেদন জমা দেন, যেখানে তিনজনকে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি কেবিন ক্রু তামিমার সঙ্গে রাকিবের বিয়ে হয় এবং তাদের একটি আট বছরের মেয়ে রয়েছে। তবে ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও নাসিরের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রাকিব বিষয়টি জানতে পারেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক চলমান অবস্থায় তামিমা নাসিরকে বিয়ে করেন, যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী অবৈধ। তামিমা ও নাসিরের এই অনৈতিক সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার মেয়ের মানসিক অবস্থা চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে, এবং তাদের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে।