বিয়ের আনন্দে গুলি ছুড়েছিলেন এক নারী আত্মীয়, আর সেই গুলিতেই প্রাণ গেল নববিবাহিত বর আলি কারাকার (২৩)। মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে তুরস্কের উত্তরাঞ্চলীয় গিরেসুন প্রদেশের শেবিনকারাহিসার শহরে, বুধবার (২৭ আগস্ট)।
বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বর। সে সময় কনের পরিবারের এক ৪৭ বছর বয়সী নারী আত্মীয় উল্লাস প্রকাশ করতে গিয়ে গুলি চালান। গুলিটি কারাকারের গায়ে গিয়ে লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং তার কাছ থেকে দুটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়। স্থানীয় প্রসিকিউটরের দপ্তর এরই মধ্যে একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছে।
তুরস্কে বিয়েতে গুলিবর্ষণের ঘটনা নতুন নয়। সম্প্রতি দেশটির বিভিন্ন এলাকায় এ কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে প্রায় নিয়মিতই। মাত্র এক সপ্তাহ আগেই আরেক বিয়েতে গুলিতে একজন নিহত হন, আহত হন দুজন। এমনকি বিয়েটিও বাতিল করতে হয়।
২০১৮ সালে এক চিকিৎসক উল্লাসে আকাশে গুলি ছুঁড়তে গিয়ে ভুলবশত নিজেকে গুলি করে প্রাণ হারান।
তুরস্কে সামাজিক অনুষ্ঠানে গুলি চালানো আইনত দণ্ডনীয় হলেও অনেক এলাকাতেই এই রেওয়াজ থামছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আনন্দের প্রকাশ কিংবা শক্তি প্রদর্শনের নামে মানুষ নিজেদের ও অন্যদের জীবনে ঝুঁকি তৈরি করছেন।
নববিবাহিত বর আলি কারাকারের মৃত্যু শুধু একটি পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে না—পুনরায় সামনে এনেছে প্রশ্ন:
“তুরস্কে বিয়ের উল্লাসে গুলি চালানো কবে বন্ধ হবে?”