একসময়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় বাসযোগ্য শহর লন্ডন এবার ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (EIU) ‘গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স’-এর শীর্ষ ৫০ তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। শহরটির এমন পতনের পেছনে বড় কারণ হিসেবে ধরা হয়েছে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা, বিশেষ করে ২০২৪ সালের দাঙ্গা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি।
EIU প্রতিবছর ১৭৩টি শহরের জীবনযাত্রার মান, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, অবকাঠামো এবং স্থিতিশীলতা বিবেচনায় র্যাংকিং প্রকাশ করে। এবারের রিপোর্টে লন্ডনের অবস্থান ৫০ ধাপ নিচে নেমে গেছে।
মূল কারণ:
-
২০২৪ সালের দাঙ্গা: বিশেষ করে সাউথপোর্টে শিশু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
-
উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয়: আবাসন, বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি।
-
বর্ধিত জনসংখ্যার চাপ: অবকাঠামো ও গণপরিবহন ব্যবস্থায় অতিরিক্ত চাপ।
-
অপরাধ ও নিরাপত্তা উদ্বেগ: নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।
বিশ্বের শীর্ষ শহর:
ডেনমার্কের কোপেনহেগেন এবারের র্যাংকিংয়ে শীর্ষ স্থান পেয়েছে। ভিয়েনা দ্বিতীয়। মধ্যপ্রাচ্যের শহরগুলোতেও শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নতির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
তবুও লন্ডনের শক্ত অবস্থান:
যদিও EIU-এর র্যাংকিংয়ে পিছিয়েছে, লন্ডন এখনও অন্য র্যাংকিংয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। যেমন—অক্সফোর্ড ইকোনমিক্সের গ্লোবাল সিটি ইনডেক্সে লন্ডন দ্বিতীয় এবং রেজনেন্স ওয়ার্ল্ডস বেস্ট সিটিজ র্যাংকিংয়ে প্রথম হয়েছে।
EIU বলছে, এখনই পদক্ষেপ না নিলে এই অবনতি আরও গভীর হতে পারে। তাই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।