বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) দুর্নীতি ও অনিয়মের নানা অভিযোগ বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় পরিবর্তনের পর এর প্রভাব পড়ে বিসিবিতেও। দীর্ঘদিন সভাপতির দায়িত্বে থাকা নাজমুল হাসান পাপন সরে দাঁড়ালে বোর্ডের দায়িত্ব পান জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ।
নতুন কমিটি দায়িত্ব নিয়েই আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। আয়োজনে নানা সমালোচনা ও অব্যবস্থাপনা থাকলেও, দর্শক উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া। টিকিট বিক্রি থেকেও বিসিবি রেকর্ড আয় করে।
তবে বাংলা নববর্ষের আমেজ শেষ হওয়ার আগেই বিসিবিতে হানা দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে দুদকের একটি তদন্ত দল বিসিবি অফিসে অভিযান চালায়। তদন্তের মূল লক্ষ্য ছিল বিপিএলের টিকিট বিক্রিতে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি যাচাই করা।
তদন্তে উঠে আসে চমকপ্রদ তথ্য। সর্বশেষ বিপিএলে টিকিট বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ১৩ কোটি টাকা, অথচ আগের আট বছরে সব আসর মিলিয়ে এই খাত থেকে আয় ছিল মাত্র ১৫ কোটি টাকা। এই অস্বাভাবিক পার্থক্য সন্দেহ জাগিয়েছে তদন্তকারীদের মধ্যে।
এছাড়া, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু বিপিএলেও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই বিশেষ আসরের জন্য বরাদ্দ ছিল ১৫ কোটি টাকা, কিন্তু খরচ দেখানো হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। অথচ প্রকৃত খরচ ছিল মাত্র ৭ কোটি—এমন তথ্য দিয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা।
তদন্তে কারা জড়িত এবং কারা এতে সুবিধাভোগী হয়েছেন তা খুঁজে বের করার কথা জানিয়েছে দুদক। সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে।