চাচাতো বোনকে ভালোবেসে বিয়ে করার পর নির্মমভাবে খুন হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ওমর ফারুক সৌরভ। পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।
সৌরভের বাবা ইউসুফ আলী জানিয়েছেন, সৌরভ ও ইশরাত জাহান ইভা প্রায় পাঁচ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন। গত ১২ মে তাঁরা বিয়ে করেন। যদিও সৌরভের পরিবার তাঁদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছিল, কিন্তু ইভার পরিবার এতে রাজি ছিল না।
পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর ইভার মা-বাবা তাঁদের মেয়েকে ভয় দেখিয়ে কানাডায় পাঠিয়ে দেন। এরপর গত শনিবার শ্বশুর ইলিয়াস আলী কৌশলে সৌরভকে ময়মনসিংহে ডেকে আনেন। সেখানে পরিকল্পনা করে তাঁকে হত্যা করা হয়। পরে সৌরভের দেহ চার টুকরো করে মনতলা ব্রিজের নিচে ফেলে দেওয়া হয়।
গতকাল রোববার নিহত সৌরভের বাবা অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ময়মনসিংহ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনা তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, সৌরভের মৃতদেহের খণ্ডাংশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ইলিয়াস আলীসহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। পরিবারের পাশাপাশি সহপাঠীরা অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে।