রমজান মুমিনের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। মহান আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মহা সুযোগ। আত্মশুদ্ধিই যার প্রধান উদ্দেশ্য। এ উদ্দেশ্য যদি ব্যাহত হয় তাহলে রোজা হবে অন্তঃসার শূন্য।
একজন জানতে চেয়েছেন, মাথায় তেল ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে?
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, মাথায় তেল ব্যবহার করলে রোজা ভাঙবে না। বরং হজরত কাতাদা (রহ.) বলেন, ‘রোজাদারের তেল ব্যবহার করা উচিত, যাতে রোজার কারণে সৃষ্ট ফ্যাকাশে বর্ণ দূর হয়ে যায়। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ৪/৩১৩; আদ্দুররুল মুখতার ২/৩৯৫)
রোজার কাজা ও কাফফারা কী?
রোজার কাজা হলো একটি রোজার পরিবর্তে একটি রোজাই রাখা। কাজা রোজা রমজানের পরে সুবিধামতো সময়ে আদায় করা যায়। সব কাজা রোজা একত্রে আদায় করা জরুরি নয়।
আর রোজার কাফফারা হলো প্রতিবিধান হিসেবে অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করা। রোজা কাজা করার পরও কাফফারা আদায় করতে হয়। এই কাফফারা হলো একটি দাস মুক্ত করা, আর অক্ষম হলে ধারাবাহিকভাবে ৬০ দিন রোজা রাখা এবং তা-ও না পারলে ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা খাবার খাওয়ানো।
বেশির ভাগ ফকিহ বলেন, হাদিসে বর্ণিত ধারাবাহিকতা রক্ষা করা আবশ্যক। অর্থাৎ রোজা ভঙ্গকারী দাস মুক্ত করতে অক্ষম হলে দুই মাস রোজা রাখবে। আর দুই মাস রোজা রাখতে ব্যর্থ হলে ৬০জন মিসকিনকে খাবার খাওয়াবে।