ডরসেটের একটি সম্পূর্ণ গ্রাম উচ্ছেদের মুখোমুখি হওয়ার খবর আমাদের ক্ষুব্ধ করতেই পারে। তবু এই বাস্তবতা—যে এত অল্পসংখ্যক মানুষের হাতে এত বিশাল ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত—তার জন্য আমরাই কিছুটা দায়ী। এমনকি যেসব সরকার নিজেদের সমাজতান্ত্রিক বলে দাবি করে, তারাও ভূমির একচেটিয়া মালিকানার মতো মৌলিক সমস্যাগুলোর সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। আমরা নাগরিকরাও সেগুলো নিয়ে যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করিনি।
১৯০৯ সালে, যখন জমির মালিকানা প্রায় পুরোপুরি অভিজাত শ্রেণির হাতে কেন্দ্রীভূত ছিল, স্কটল্যান্ডের ভবিষ্যৎ পররাষ্ট্রমন্ত্রী টম জনস্টন বলেছিলেন—জমির মালিকানা বলপ্রয়োগ কিংবা প্রতারণার মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি মানুষকে আহ্বান জানান সেই ‘ভ্রান্ত প্রেম’ থেকে মুক্ত হতে, যা জাতিকে অসাড় করে রেখেছে এবং অভিজাতদের পকেটভর্তি করতে সাহায্য করেছে।
জর্জ মনবিওট তাঁর সাম্প্রতিক লেখায় দেখিয়েছেন, আজকের দিনে জমির একচেটিয়া মালিকানা শুধু অভিজাতদের হাতে সীমাবদ্ধ নেই; বরং করপোরেট শক্তির কাছেও তা কেন্দ্রীভূত। এর প্রতিকার হতে পারে একটি কার্যকর ভূমি মূল্য কর (Land Value Tax)। যারা দেশের সম্পদ ও ভূমির মালিকানা দাবি করেন, তাদের এর প্রকৃত খরচ বহন করাও উচিত।
১৯১০ সালে ব্রিটিশ অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগ একটি বিস্তৃত ভূমি জরিপ শুরু করেছিল, যাতে সম্পূর্ণ ব্রিটেনের ভূমির ব্যবহার, মালিকানা ও মূল্য নিরূপণ করা হয়। পাঁচ বছর পর জরিপ শেষ হলেও প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও সরকার পরিবর্তনের কারণে প্রস্তাবিত ভূমি কর বাস্তবায়িত হয়নি। বর্তমানে লেবার সরকার ক্ষমতায় রয়েছে—তাদের হাতে এখনও চার বছর সময় আছে এই জরিপ প্রক্রিয়াকে পুনরায় শুরু করে করব্যবস্থার সংস্কার করার জন্য। কাজটি এখনই শুরু করা উচিত।
— জন ডিগনি, স্টার্লিং
ডরসেটের লিটলব্রেডি গ্রামের বাসিন্দাদের উচ্ছেদ নিয়ে জর্জ মনবিওটের ক্ষোভপূর্ণ প্রতিবেদন ৩০ মাইল দূরের এক ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়—১৭৭০-এর দশকের মিল্টন আব্বাস স্থানান্তর।
১৭৫২ সালে লর্ড মিল্টন মিল্টন অ্যাবে কেনেন এবং পরবর্তী সময়ে বিখ্যাত ল্যান্ডস্কেপ ডিজাইনার ক্যাপাবিলিটি ব্রাউন-কে নিয়োগ দেন আশপাশের দৃশ্যমানতা “উন্নত” করার জন্য। তবে তার সামনে একটি সমস্যা ছিল—পুরোনো, মধ্যযুগীয় এক গ্রামের শতাধিক পরিবার। এর সমাধানে তিনি গ্রামটিকেই সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। ১৭৭৪ সালে ব্রাউন একটি নতুন ‘মডেল গ্রাম’ তৈরি করেন এবং এক দশকের মধ্যে বাসিন্দাদের নতুন স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়—কখনও তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে। পুরাতন গ্রামের আজ আর প্রায় কোনো চিহ্নই অবশিষ্ট নেই।
১৮ শতকের অনেক জমিদারের মতো লর্ড মিল্টনও ছিলেন এক নির্মম বাস্তবতার প্রতীক। তবে অন্তত তিনি বাসিন্দাদের জন্য নতুন ঘরবাড়ি তৈরি করেছিলেন। আজকের করপোরেট মালিকদের অনেকেই সে ধরনের ন্যূনতম দায়বদ্ধতাও অনুভব করেন না—এটাই বর্তমানের সবচেয়ে উদ্বেগজনক দিক।
— রবিন গাচ, লেখক ও ইতিহাসবিদ