লন্ডনের তুর্কি কনস্যুলেটের সামনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় ৫০ বছর বয়সী হামিত কসকুনের বিরুদ্ধে ধর্মীয়ভাবে উত্তেজক জনশৃঙ্খলা লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বলা হয়েছে, কসকুন ইসলাম ও কোরআন বিরোধী স্লোগান দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছেন।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী কেটি থর্ন যুক্তি দেন, এই মামলাটি মূলত যুক্তরাজ্যে ‘ব্লাসফেমি আইন পুনরায় চালুর’ মতো। তিনি বলেন, “কোরআন পোড়ানো কোনো ফৌজদারি অপরাধ নয়, বরং এটি বাকস্বাধীনতার অধিকার।”
২০০৮ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে এবং ২০২১ সালে স্কটল্যান্ডে ব্লাসফেমি আইন বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু উত্তর আয়ারল্যান্ডে এখনও আইনটি কার্যকর রয়েছে, যদিও তা খুব কমই ব্যবহৃত হয়।
কসকুন নিজেকে একজন নাস্তিক বলে দাবি করেন এবং বলেন, তিনি ইসলামবিরোধী রাজনৈতিক প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বলেন, তাঁর কাজ ছিল তুরস্কের সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ, যা ধর্ম নয় বরং রাজনীতিকেন্দ্রিক।
রাষ্ট্রপক্ষ দাবি করে, কসকুন ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় স্পর্শকাতর জায়গা ও সময় বেছে নিয়েছিলেন, যা জনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি তৈরি করে। আদালত জানায়, মামলার শুনানি শেষ হয়েছে এবং রায়ের তারিখ পরে জানানো হবে।
ফ্রি স্পিচ ইউনিয়ন ও ন্যাশনাল সেকুলার সোসাইটি কসকুনের আইনি খরচ বহন করছে। তারা জানায়, “আমরা কসকুনকে ইসলামবিরোধী হওয়ার কারণে নয়, বরং ধর্মীয় ব্লাসফেমি আইন পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেই সমর্থন দিচ্ছি।”