যুক্তরাজ্যে মোবাইল ফোন চুরি উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশটির প্রায় ২৯ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ইতিমধ্যেই ফোন চুরির শিকার হয়েছেন—যা ২০২৩ সালে ছিল ১৭ শতাংশ।
এই গবেষণা পরিচালনা করেছে ফিনটেক স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান নিউক ফ্রম অরবিট। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী জেমস ও’সুলিভান জানান, “চলমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পুলিশের প্রতিক্রিয়া চুরির প্রকৃত পরিসরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ফোন চুরি বাড়ছে, ব্যক্তিগত নিরাপত্তার অভাব স্পষ্ট, এবং মানুষ এখনো ঝুঁকিপূর্ণ অভ্যাসেই আটকে আছেন।”
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, অর্ধেকের কাছাকাছি অংশগ্রহণকারী অননুমোদিত ব্যাংক অ্যাক্সেস ও ডিজিটাল ওয়ালেট সুরক্ষা নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন।
নিজের ফোন চুরি হওয়ার অভিজ্ঞতা থেকেই ও’সুলিভান তার স্টার্ট-আপ চালু করেন। প্রতিষ্ঠানটি এখন একটি নিরাপত্তা সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করছে, যা ২০২৫ সালের শেষ দিকে বাজারে আসবে বলে জানানো হয়েছে। এই সফটওয়্যারে থাকবে একটি “কিল সুইচ”—যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা দূরবর্তীভাবে তাদের ফোনে থাকা সব অ্যাপ নিষ্ক্রিয় করতে এবং অন্য ডিভাইস থেকে তাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করতে পারবেন।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, প্রায় ৩৫ শতাংশ ব্যবহারকারী তাদের ফোনে একাধিক অ্যাপে একই বা অনুরূপ পিন ব্যবহার করেন—যা ফোন চোরদের কাজ সহজ করে দেয়।
বিশেষ করে তরুণরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন, যাদের মধ্যে ৭১ শতাংশ দিনে একাধিকবার মোবাইল ব্যবহার করেন।
যাদের ফোন চুরি হয়েছে, তাদের মাত্র ২৪ শতাংশ তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের কাছে যান। অধিকাংশই প্রথমে যোগাযোগ করেন ব্যাংক অথবা মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রদানকারীর সঙ্গে। ও’সুলিভান বলেন, “অনেকে কেবল তখনই পুলিশের কাছে যান, যখন ব্যাংক থেকে টাকা ফেরত পেতে পুলিশের রিপোর্ট বাধ্যতামূলক হয়। কিন্তু তাৎক্ষণিক ও সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ অনেক বেশি কার্যকর।”
তবে যাঁদের ফোন চুরি হয়নি, তাঁদের ৬১ শতাংশ বলেছেন, এমন পরিস্থিতিতে প্রথমেই তারা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।