যুক্তরাজ্যের ক্যানারি ওয়ার্ফে অবস্থিত ব্রিটানিয়া হোটেলের সামনে সম্প্রতি একদল অভিবাসী শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করেছেন অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে। তারা জানিয়েছেন, এই প্রতিবাদ কোনো ডানপন্থী রাজনৈতিক উদ্যোগ নয়; বরং একটি ন্যায্য ও আইনভিত্তিক অবস্থান। যারা নিয়ম মেনে যুক্তরাজ্যে এসেছেন, তারা চান—আইনের শাসন বজায় থাকুক এবং অবৈধ অভিবাসনের কারণে বৈধ অভিবাসীদের সুনাম ক্ষুণ্ন না হোক।
হাঙ্গেরি থেকে আসা এক অভিবাসী বলেন, “আমিও একজন অভিবাসী। আমরা কারও বিরুদ্ধে নই, বরং সেইসব মানুষের বিরোধিতা করি যাদের পরিচয় বা উদ্দেশ্য অস্পষ্ট। এখন দেশে বিশৃঙ্খলা বাড়ছে, সরকার যদি নাগরিকদের কথা না শোনে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।”
১৯৬১ সালে যুক্তরাজ্যে আসা একজন অভিজ্ঞ অভিবাসী বলেন, “আমি বৈধভাবে এসেছি এবং এই দেশ আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমি মনে করি, এটি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দেশ। এখানেই বোঝা যায় কেন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে আসতে চায়।”
চীন থেকে আসা এক নারী অভিবাসী জানান, “আমরা যারা নিয়ম মেনে এসেছি, আমরা পরিশ্রম করি, কর দিই, দেশ গড়ায় ভূমিকা রাখি। আমাদের অবস্থান কোনো ঘৃণামূলক রাজনীতির অংশ নয়; বরং ন্যায্যতা ও সম্মানের জন্যই আমরা বলছি।”
কাউন্সিল ও হোম অফিসের প্রতিক্রিয়া
টাওয়ার হ্যামলেট কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ব্রিটানিয়া হোটেলে আশ্রয়প্রার্থীদের অস্থায়ী আবাসনের বিষয়টি তাদের জানা আছে। হোম অফিস এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে হোটেলে অবস্থানরতদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ চলছে।
নীতিগত প্রশ্ন ও অভ্যন্তরীণ বিভাজন
এই বিক্ষোভ দেখিয়েছে যে অভিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যেও অভিবাসন নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। সব অভিবাসী উদার অভিবাসন নীতিতে বিশ্বাস করেন না। যারা বৈধ পথে যুক্তরাজ্যে এসেছেন, তারা চান যেন আইন-শৃঙ্খলা ও সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা করা হয়।
সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস