যুক্তরাজ্য অস্বাভাবিক ও ভয়াবহ এক তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। লন্ডনের তাপমাত্রা গতকাল ছুঁয়েছে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দেশটির স্বাভাবিক গ্রীষ্মকালীন গড়ের তুলনায় অনেক বেশি। ব্রিটিশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (Met Office) এই অবস্থাকে “গুরুতর জনস্বাস্থ্যঝুঁকি” হিসেবে চিহ্নিত করে হিট হেলথ অ্যালার্ট জারি করেছে।
তীব্র গরম ও বৃষ্টিহীন আবহাওয়ার কারণে দেশের জলাধারগুলোর পানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এ অবস্থায় “হোস পাইপ ব্যান” চালু করা হয়েছে, যার অধীনে বাগানে পানি দেওয়া, গাড়ি ধোয়া বা পুলে পানি ভরার মতো কাজ নিষিদ্ধ। নির্দেশ অমান্য করলে ১,০০০ পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
তাপদাহের সরাসরি প্রভাব পড়েছে পরিবেশে। পূর্ব লন্ডনের Wanstead Park-এ আগুন লেগে যায় দুপুরের দিকে, দমকল বাহিনীর এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় তা নিয়ন্ত্রণে আসে। ১৪ একর তৃণভূমি পুড়ে যায়, যা স্থানীয়দের মধ্যে চরম উদ্বেগ তৈরি করেছে। আগুন লাগার কারণ এখনো নিশ্চিত না হলেও গরম আবহাওয়াকেই প্রধান সন্দেহ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, এই তাপপ্রবাহ বয়স্ক, শিশু ও দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্তদের জন্য মারাত্মক বিপদ তৈরি করতে পারে। সবাইকে যথাসম্ভব ঘরে থাকার, পর্যাপ্ত পানি পানের এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা বা আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হতে পারে। পাশাপাশি, এ ধরনের আবহাওয়াকে “নতুন জলবায়ু বাস্তবতার প্রতিফলন” হিসেবে বিবেচনা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করা হয়েছে বিদ্যুৎ, পানি ও অন্যান্য জরুরি সম্পদের যথাসম্ভব সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে।