যুক্তরাজ্যে ভিসা প্রত্যাখ্যাত হলে অনেকেই দ্বিধায় পড়েন—আপিল করবেন, নাকি নতুন করে আবেদন করবেন? উভয় পথেরই কিছু সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে, এবং কোনটি আপনার জন্য উপযোগী হবে, তা নির্ভর করে আপনার নির্দিষ্ট পরিস্থিতির ওপর।
যারা যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন, তাদের জন্য ইমিগ্রেশন আপিল একটি কার্যকর বিকল্প হতে পারে। আপিল করলে সাধারণত আবেদনকারীর থাকার অনুমতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়ে এবং কাজের অধিকারও বজায় থাকে। বিচারকরা আপিলের সময় নতুন তথ্য বা পরিস্থিতি বিবেচনা করতে পারেন, যা আবেদনকারীর পক্ষে যেতে পারে।
তবে, আপিল প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ এবং জটিল হতে পারে। আপিল চলাকালীন দেশ ত্যাগ করা যায় না। এছাড়া আপিলের ফলাফল সবসময় প্রত্যাশামাফিক নাও হতে পারে।
নতুন করে আবেদন করলে, বিশেষ করে সুপার প্রায়োরিটি সার্ভিস ব্যবহার করলে, একদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত পাওয়া সম্ভব। আইনজীবীর খরচও তুলনামূলকভাবে কম পড়ে।
তবে এখানে বড় ঝুঁকি রয়েছে—প্রত্যাখ্যানের পর আপনি যদি ওভারস্টেয়ার হয়ে যান, তাহলে কাজের অনুমতি হারান এবং সেই সময় কাজ করা অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়। যদি দ্বিতীয় আবেদনও প্রত্যাখ্যাত হয়, তাহলে আপিলের সুযোগ থাকেনা এবং আপনাকে দেশ ছাড়তে হতে পারে। এমনকি আবেদন সফল হলেও, সেই সময়কাল পরবর্তীতে স্থায়ী বসবাসের হিসাব থেকে বাদ পড়তে পারে।
যদি আবেদনকারী যুক্তরাজ্যের বাইরে থাকেন, তাহলে নতুন আবেদনই সাধারণত দ্রুত ও কার্যকর সমাধান দেয়। তবে পূর্বের আবেদন যদি ভুল তথ্য, উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ বা গুরুতর কারণ দেখিয়ে বাতিল হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র নতুন আবেদন যথেষ্ট নাও হতে পারে—তখন আপিল করা জরুরি হতে পারে।
ভিসা প্রত্যাখ্যানের পর কী করবেন, তা নির্ধারণের আগে অভিজ্ঞ আইনজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ, প্রতিটি কেস আলাদা, এবং একটি ভুল সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
সূত্র: ই আই এন