Uk Bangla Live News

যেমন হবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র
ডেস্ক সংবাদ

রফতানি আয়, রেমিটেন্স বা বিনিয়োগ— বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নানাক্ষেত্রে শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই দেশটিতে ক্ষমতার পালাবদলের পরই শুরু হয় হিসাব-নিকাষ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রশ্ন হচ্ছে, দু’দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কী কী পরিবর্তন আসবে?
বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনী প্রচারণায় অভিবাসন নীতি ও রেমিটেন্স আয় নিয়ে দেয়া ট্রাম্পের ঘোষণার বাস্তবায়ন হলে চাপে পড়বে বাংলাদেশ। তবে রফতানিতে নতুনভাবে শুল্ক বসানোর শঙ্কা নেই। অবস্থান ধরে রাখতে নিশ্চিত করতে হবে ব্যবসার উন্নত পরিবেশ।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, তাদের এলএনজিভিত্তিক যে জ্বালানি সেটার চাপ বাড়তে পারে। আমার মনে হয় যে, আমেরিকার পেট্রোলিয়াম বা জ্বালানি সেটার চাপ আগামী দিনে বাড়বে।
বাংলাদেশের মোট রফতানি আয়ের ২০-২২ শতাংশ আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর এই নয় মাসে দেশটি থেকে রফতানি আয়ের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৫শ’ কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির ক্ষেত্রে ১৬ শতাংশ শুল্ক দেয় বাংলাদেশ। প্রশ্ন হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন কি শুল্ক ব্যবস্থাপনায় হাত দেবে?
ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আমাদের যে পণ্যগুলো আছে সেগুলোতে বাড়তি করে শুল্ক আরোপ হবে বলে মনে হয় না। এখন আমাদের পণ্য যে শুল্ক দিয়ে ঢুকছে, তা হয়তো অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশের রেমিটেন্স আয়ের শীর্ষ উৎস এখন যুক্তরাষ্ট্র। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে মোট রেমিটেন্স আয়ের ১৬ শতাংশ এসেছে, দেশটি থেকে। অভিবাসন নীতি নিয়েও পিছু ছাড়ছে না দুশ্চিন্তা। কারণ, নির্বাচনী ভাষণে এ বিষয়ে কঠোর বার্তা দেন ডোনাল ট্রাম্প।
সিপিডির এ গবেষণা পরিচালক বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের ওপর চাপ পড়তে পারে। বাংলাদেশে থেকে দেশটিতে স্কিল বা প্রফেশনাল ভিসায় খুব কমই যাওয়া হয়। সে জায়াগাগুলোতে কড়াকড়ি বাড়বে। সবমিলিয়ে হয়তো বৈশ্বিক জায়গা থেকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ শুরু হতে পারে।
এ অবস্থায় বৈশ্বিক নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আসিফ আহমেদ বলেন, আমাদের তো কিছু কমিটমেন্ট থাকে। আমরা বলেছি যে, আমরা নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে শিপমেন্ট করবো। এর মধ্যে যদি দেখা যায়, আমরা কাজ করতে পারছি না, তখন কিন্তু প্রোডাকশন শিডিউল ঠিক রাখা সম্ভব হয় না। গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ যদি না থাকে, তাহলে আমরা তো অপারেট করতে পারবো না।
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য প্রসারে এখন রয়েছে ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট। তবে বাণিজ্য চুক্তির ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।

Print
Email

সম্পর্কিত খবর

যেমন হবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য
ইতালির সড়কে ঝরলো নাঈমের স্বপ্ন
অবৈধ বাংলাদেশি ধরতে ভারতে ইডি’র অভিযান
রাশিয়ার সঙ্গে নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত
বুকের দুধ দান করে গিনেস ওয়ার্ল্ডে মার্কিন নারী
গাজা-লেবাননে আরও ৮৭ জনকে হ ত্যা করল ইসরায়েল
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশেকে বিদ্যুৎ দেবে নেপাল
বেলুচিস্তানে রেলস্টেশনে বোমা হামলা, নিহত ২৫
গাজা-লেবাননে আরও শতাধিক প্রাণহানি