লন্ডনের ওল্ড কেন্ট রোডে অবস্থিত জনপ্রিয় ভিয়েতনামি রেস্টুরেন্ট ‘ফো না’ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ, কারণ সেখান থেকে ছাগলের মাংসের মোড়কে কুকুরের মাংস পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা একটি লেবেলযুক্ত প্যাকেটের মাংসে সন্দেহ প্রকাশ করলে সেটি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। লেবেলে লেখা ছিল “পাতায় মোড়ানো ছাগলের মাংস”, তবে ল্যাবরেটরি রিপোর্টে নিশ্চিত হওয়া যায় এটি ছিল আসলে কুকুরের মাংস।
ব্রমলি ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্টে মামলার শুনানিতে আরও জানানো হয়, রেস্টুরেন্টের ভেতরে ইঁদুরের বিষ্ঠা, জীবিত ও মৃত তেলাপোকা পাওয়া গেছে—যা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়।
রেস্টুরেন্টের মালিক, ৪৭ বছর বয়সী ভুয়ং কুওক নুগুয়েন, অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন যে তিনি জানতেন না মাংসটি কুকুরের, এবং সেটি মানুষের খাবার হিসেবে নয়, বরং অন্য কাজে ব্যবহারের জন্য সরবরাহ করা হয়েছিল। তার আইনজীবী পিয়ার্স কিস-উইলসন জানান, নুগুয়েন রেস্টুরেন্টের স্বাস্থ্যবিধি ঠিক রাখতে পেস্ট কন্ট্রোলের সহায়তাও নিয়েছিলেন।
এ মামলার পরবর্তী শুনানি ১৮ ডিসেম্বর ব্রমলি ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্টে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, গুগলে এখন ‘ফো না’ রেস্টুরেন্টকে “স্থায়ীভাবে বন্ধ” হিসেবে দেখানো হচ্ছে, যদিও এর আগে রেস্টুরেন্টটির রেটিং ছিল ৪.৬ স্টার।
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান ওয়ার্ল্ডের তথ্যমতে, প্রতিবছর ভিয়েতনামে প্রায় ৫০ লক্ষ কুকুর চুরি, পাচার ও মাংসের জন্য হত্যা করা হয়। কুকুরের মাংস ভক্ষণ এখনও চীন, ইন্দোনেশিয়া ও কয়েকটি দেশে প্রচলিত।
সূত্র: দ্য সান